আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

আমি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শারীরিক মানসিক অসুস্থতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এদিকে আমার স্বামীর শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য আমাকে বলেন। ডক্টর আমাকে ইনটিমেট হতে নিষেধ করেছেন।আর এমনিতেও আমি ইনটিমেট হতে খুবই কষ্ট হয়। সরাসরি ওভাবে না করে যেভাবে স্বামীকে শারীরিক সুখ দেওয়া যায় আমি চেষ্টা করি। কিন্তু সবসময় পারি না। উনার ক্রেভিং একটু বেশি। উনি গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে বলেন ব্লোজব দিতে। আমি বিষয়টা নিয়ে উনার সাথে মজা করি এবং এইটা এরিয়ে যাই। যদিও উনি জানেন এই ব্লোজব উচিত না। কিন্তু উনার কথা হচ্ছে এখন যেহেতু শারীরিক সম্পর্ক করতে পারছি না সুতরাং এভাবে উনাকে সেটিসফাইড করা যায়। আমার ভুল ছিলো আমি উনার কথা সিরিয়াসলি নেই না এবং মজা করে উরিয়ে দেই। এরপর উনি আমাকে অনেক অনেক জোরে জোরে ধমক দেন। আমি কিছু না বলে উঠে চলে আসি। এরপর ঘন্টাখানেক পর নিজেই আসেন আমার কাছে।আমি আর উনার ধমকের কথা ধরে কিছুই বলি না বা রাগ ও করি না। নরমালি কথা বার্তা বলি। এরপর খেয়ে দেয়ে কাজে যায়। রাত ১২ টার পর বিছানায় এলে বিছানা গুছায় শুয়ে উনি মোবাইলএ কাজ করতে থাকেন। আমার সাথে একটা কথাও বলেন না। এদিকে আমি সারারার ছটফট করি অসুস্থতায়।কান্নাকাটি করি। বারবার বিছানা ছেড়ে উঠে যাই। এরপরও উনি আমাকে ধরেন না।ভালো মন্দ কথাও বলেন না। আমি মারাত্মক লেভেল এর কষ্ট পাই। আমার এই প্রেগন্যান্সির সময় আমি এইটা নিতে পারতেসিলাম না। এরপর রাত ৩টার পর উনি মোবাইল রেখে কিছু না বলেই আমার শরীর এ হাত দেয়। এতোক্ষন কান্নাকাটির পর উনার এই টাচ আমার অসহ্য লাগে তাই আমি সরিয়ে দেই আর বলি এতোক্ষন আসেন নাই। এখন আর আসতে হবে না। উনি আমার রিএক্ট এ আবার ধমকায়। এরপর আমি বিছানা থেকে উঠে চলে আসি সোফার রুমে। উনি একটা বারও আমার কাছে আর আসেন না। আমি সোফাতে এই অবস্থায় বসে ছিলাম সকাল পর্যন্ত। এরপর মানসিক ভাবে খুব লো ফিল করাতে আমি শশুড়বাড়ির কাউকে কিছু না বলে চলে আসি বাবার বাসায়। উল্লেখ্য আমার বাবার বাসা আর শশুড়বাসা কাছা কাছি।এসে আমি আবার উনাকে মেসেজ করে বলি যে আমি এখানে আসছি। এরপর ফোন অফ করে ঘুমিয়ে যাই। সকালে শাশুড়ী কল দিয়ে আমার সাথে লাউড হয়ে কথা বলে। স্বামী ও কথা শুনাচ্ছে, অথচ উনি উনার ভুলকে চোখে দেখছে না। উল্লেখ্য এইটা নতুন না। এরকম আগেও হয়েছে। কিন্তু এবার আমি আর নিতে পারি নাই।

এই বিষয় এ আমাকে দয়া করে কিছু বলুন। আমি বুঝতে পারছি আমি এভাবে কাউকে কিছু না বলে এসে উচিত করি নাই। কিন্তু আমার মানসিক অবস্থা খুবই বাজে ছিলো। এখন সবার কথায় আমার আরও কষ্ট হচ্ছে। আমি এখন কি করবো।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)

আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।

সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6080

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এভাবে শশুড়বাড়ী থেকে চলে আসা আপনার জন্য উচিৎ হয়নি। আপনার উচিৎ ছিল, স্বামীকে আন্তরিকতার সাথে বুঝানো। স্বামীর সাথে নিজের কষ্টের কথা খুলাখুলি আলোচনা করা। যাইহোক, এখন স্বামীর বাসায় চলে যান, আর স্বামীর সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।আল্লাহ আপনার আগত সন্তানকে সহীহ সালামতে রাখুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...