বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/55711/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই
মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই
আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে। আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা
ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা। ওয়াসওয়াসার রোগী
সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্চারণ করলেও সে কাফির হয়না। বরং তার ঈমান বহাল থাকে।
যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার
ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই
চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।
ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة
هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو
الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت
لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى
1/149
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম
চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/835
ওয়াসওয়াসা থেকে
বাঁচার আমলঃ
ইবনে হাজার আল-হাইছামি
তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে
তিনি বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ،
وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد
زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال
تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم
অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে
সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে
কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে
সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি
তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে
এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে
কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।
এর সর্বোত্তম
প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা,
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا
بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে
আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ
عَلَى الْوَسْوَسَة
সমস্ত প্রশংসা ওই
আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)
ইবনে হাজার
আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ،
وإن كان في النفس من التردد ما كان
ওয়াসওয়াসার
কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে
এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন
দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আলাদা একটা কাপড় রাখবেন
বা অন্য কাগজ ভাঁজ করে রাখবেন। সেটা দিয়ে কুরআনের পৃষ্ঠা উল্টাবেন।
২. জ্বী, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে সব রকম ওয়াসওয়াসা
পরিহার করে চলবেন। এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
কারণ, ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা
সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)