জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
তাশাহুদের পর সালাম ফিরানোর আগে অজু ভেঙ্গে গেলে কথাবার্তা না বলে অজু করে এসে সালাম ফিরালে নামায হয়ে যাবে। নতুবা নতুন করে নামায পড়া ওয়াজিব।
,
সালাম না ফিরিয়ে ভুলে উঠে গেলে মসজিদ থেকে না বের হয়ে থাকলে এবং কথা না বলে থাকলে বসে প্রথমে সাহু সেজদা করবে, তারপর তাশাহুদ, দরূদ, দুআয়ে মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাবে। এরকম না করলে নামায মাকরূহে তাহরিমী হয়ে নামাযটি পুনরায় পড়া ওয়াজিব হয়ে যাবে।
,
তবে কথা বলে ফেললে নামায হবে না। নতুন করে পড়া ওয়াজিব।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمُلَقَّبُ، مَرْدَوَيْهِ قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ رَافِعٍ، وَبَكْرَ بْنَ سَوَادَةَ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَحْدَثَ - يَعْنِي الرَّجُلَ - وَقَدْ جَلَسَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ جَازَتْ صَلاَتُهُ "
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি যদি নামাযের শেষে (তাশাহহুদের জন্য) বসে সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম করে তবে তার নামায জায়িয হবে (নতুন করে আদায় করতে হবে না)।
আবূ দাউদ (২৬, ১৮১)
قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ وَقَدِ اضْطَرَبُوا فِي إِسْنَادِهِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا . قَالُوا إِذَا جَلَسَ مِقْدَارَ التَّشَهُّدِ وَأَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ فَقَدْ تَمَّتْ صَلاَتُهُ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا أَحْدَثَ قَبْلَ أَنْ يَتَشَهَّدَ وَقَبْلَ أَنْ يُسَلِّمَ أَعَادَ الصَّلاَةَ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ إِذَا لَمْ يَتَشَهَّدْ وَسَلَّمَ أَجْزَأَهُ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " وَالتَّشَهُّدُ أَهْوَنُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي اثْنَتَيْنِ فَمَضَى فِي صَلاَتِهِ وَلَمْ يَتَشَهَّدْ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ إِذَا تَشَهَّدَ وَلَمْ يُسَلِّمْ أَجْزَأَهُ . وَاحْتَجَّ بِحَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ حِينَ عَلَّمَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم التَّشَهُّدَ فَقَالَ " إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ هُوَ الإِفْرِيقِيُّ وَقَدْ ضَعَّفَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ .
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। এর বর্ণনাকারীগণ তাদের বর্ণনায় গরমিল করেছেন। এ হাদীসের ভিত্তিতে একদল মনীষী বলেছেনঃ তাশাহহুদ পাঠের পরিমাণ সময় বসার পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হলে নামায পূর্ণ হয়ে যাবে। অপর একদল মনীষী বলেছেনঃ যদি তাশাহহুদ ও সালাম ফিরানোর পূর্বে বাতকর্ম হয় তবে আবার নামায আদায় করতে হবে। ইমাম শাফিঈ একথা বলেছেন। ইমাম আহমাদ বলেছেন, যদি তাশাহহুদ পাঠ না করে সালাম ফিরানো হয় তবে নামায হয়ে যাবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “নামাযের সমাপ্তি ঘোষণা হল সালাম " আর তাশাহহুদ এমন কোন জরুরী বিষয় নয়। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশাহহুদ না পাঠ করেই দ্বিতীয় রাকাআত থেকে উঠে দাড়ালেন এবং নামায পূর্ণ করলেন। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম বলেছেন, তাশাহহুদ পাঠের পর এবং সালাম ফিরানোর পূর্বে (বাতকর্ম হলে) নামায জায়িয হবে। তিনি ইবনু মাসউদের হাদীসকে তার মতের সমর্থনে দলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দেওয়ার সময় বললেনঃ
إِذَا فَرَغْتَ مِنْ هَذَا فَقَدْ قَضَيْتَ مَا عَلَيْكَ
“যখন তুমি এটা পাঠ করে অবসর হলে, তখন তোমার দায়িত্ব শেষ হল।”
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসের এক রাবী আবদুর রহমান ইবনু যিয়াদকে হাদীসবিশারদগণ দুর্বল বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ ও আহমাদ ইবনু হাম্বল তাদের মধ্যে আছেন।)
(তিরমিজি ৪০৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অযু করে এসে সালাম ফিরালে নামায হয়ে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০২)
এক্ষেত্রে যদি এক হাতের ব্যবহার হয়,এবং প্রতিটি রুকনে সর্বোচ্চ ১/২ বার হয়,সেক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।
অন্যথায় আমলে কাসির হওয়ায় নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ-