আসসালামু'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, উস্তাদ।
ব্যক্তিগত বিদ্বেষবশত কেউ একজন অপরিচিত এক লোক লাগিয়ে সিমের কাস্টমার কেয়ার থেকে কল দিয়েছে দাবি করে আমার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। তারপর থেকে আমার ও আমার বোনদের চারিত্রিক ব্যাপারে মিথ্যে অপবাদ রটাচ্ছে। আমার থেকে নেয়া সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে তাদের রটানো অপবাদকে সত্য সাবস্ত্য করছে। আমার পরিচিত এক ব্যক্তির মনে আমাদের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি করছে।
আমার পরিচিত ঐ ব্যক্তি প্রথমবার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমি জানাই যে এগুলো মিথ্যা অপবাদ। তার ভাষ্যমতে তিনি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন।
তখন আমি এক মেয়েকে সন্দেহ করেছিলাম শুরুতে যে এই লোককে আমার পেছনে লাগাতে পারে। কিন্তু আমার কাছে প্রমাণ না থাকায় আমি ব্যাপারটা এড়িয়ে যাই।
কিন্তু এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। যেহেতু তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেখান নি, মেয়েটা আবার আরেকটা প্রতারণার আশ্রয় নেয় এবং আবার আমার বিরুদ্ধে ঐ লোক লাগিয়ে আরও জোরালোভাবে আমাকে বদনাম করে। এবার আমি এটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি। এখন আমার পরিচিত ব্যক্তিও রটানো অপবাদে বিশ্বাস করছেন।
আমার কিছু বলা না বলা এখন সমান হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় কুরআনে যখন পথনির্দেশ খুঁজছি তখন এই আয়াতগুলো সামনে আসছে যে—
আমি যেন বিচলিত না হই।
বাতিলপন্থিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আল্লাহ পাপাচারীদেরকে অবকাশ দেন, অতঃপর পাকড়াও করেন।
তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করে তা দ্বারাই তাদেরকে পাকড়াও করা হবে।
আমি যেন বিপদে ধৈর্য ধারণ করি।
তাড়াহুড়া যেন না করি।
তাড়াহুড়া করা শয়তানের কাজ।
গোপন বিষয়ের অনুসন্ধান যেন না করি।
যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার পেছনে যেন না পড়ি।
নিজের অভ্যন্তরীন অবস্থা যেন পরিবর্তন করি, আল্লাহ আমার অবস্থা পরিবর্তন করে দেবেন।
পাপাচারীরা যেন সামান্য হেসে নেয়, শীঘ্রই তাদের কৃতকর্মের ফল পাবে।
ইউনূস আ. এর কাহিনী।
আল্লাহর প্রতিশ্রুত ওয়াদা সত্য।
বারবার ধৈর্য ধারণের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আয়াতে, বিভিন্ন ইসলামিক ভিডিওতে।
আল্লাহ থেকে যেন নিরাশ না হই।
যেন আল্লাহর উপর সন্দিহান না হই।
আল্লাহর নিকট গোপন আর প্রকাশ্য উভয়ে সমান।
আমার সাথে শত্রুতা পোষণকারীদেরকে ক্ষমা করে দিতে চেয়েছিলাম, যদিও এতকিছুর পর এটা খুব কষ্টকর।
তখন এই আয়াতটা সামনে আসে—
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ বলছেন, তাদের(মুনাফিক) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা- না করা উভয়ে সমান। তাদের জন্য তিনি সত্তর বার ক্ষমা চাইলেও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।
বিভিন্ন ইসলামিক মোটিভেশনাল কথা আমার সামনে আসছে—
সবর আর সালাতের মাধ্যমে দুআ করার আয়াত।
ভাঙ্গা জিনিস ভাঙ্গা থাকতে দাও, সময় এলে আপনা আপনি জুড়ে যাবে।
সময়ের আগে দৌড়িও না, সময়ের আগে দৌড়ে যাওয়া ব্যাক্তি খালি হাতে ফিরে আসে।
যা আমার তাকদীরে লেখা তা সময় এলে আমারই হবে, নয়তো এসেও ফিরে যাবে।
আল্লাহ ভেঙে যাওয়ার মধ্যে জুড়ে যাওয়ার সমস্ত রহস্য লুকিয়ে রাখেন।
যেহেতু আমি প্রতিশোধ নিতে রাজি না। আমার ভালো-মন্দের ফয়সালা একান্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসুক চাই। আমি চাই না কোন ভুল স্টেপ নিয়ে আল্লাহ যা ইচ্ছা করছেন তার বিপরীত কিছু করে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে ফেলি।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল কিছুই তো আল্লাহর পরিকল্পনার অধীন। আমি যখনই নীরব থেকেছি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই সবথেকে সুন্দর সাহায্যগুলো পেয়েছি।
দুনিয়ার থেকে প্রত্যাশা আমাকে বারবার ভেঙেছে, আল্লাহর থেকে আশা করে আলহামদুলিল্লাহ কখনো ব্যর্থ হইনি।
তাই আমি কোনভাবেই আল্লাহর সাহায্যের বিন্দুমাত্রও হারাতে চাই না।
❓এ দিকগুলো বিবেচনায় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা না নেওয়াটা কি ঠিক হবে? সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে শুধু এতটুকু জানতে চেয়েছিলাম যে আমার কতটুকু তথ্য চুরি করে ব্যবহার করছে এবং এখনও করে যাচ্ছে কিনা। এখনও তথ্য চুরি চলমান থাকলে এই প্রসেসটা বন্ধ করে দিতে যাতে পারে।❓
[উল্লেখ্য যে, আমি সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা নেবার নিয়ত করলেই এমন আয়াত, এমন ইসলামিক ভিডিও সামনে আসছে যেগুলো আসলে আমার এই নিয়তের বিপরীত দিকে ইঙ্গিত করছে। আমার মনে হচ্ছে আমাকে এই সহায়তা নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। আমার এত জ্ঞান নেই যে আল্লাহর ইঙ্গিত সঠিকভাবে বুঝতে পারব। উস্তাদ, আমাকে পরামর্শ দিয়ে এই দ্বিধাদ্বন্দ থেকে বের হয়ে স্থির থাকতে পারার ব্যাপারে সহায়তা করবেন। ইন শা আল্লাহ।]