আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ, উস্তাদ।

ব্যক্তিগত বিদ্বেষবশত কেউ একজন অপরিচিত এক লোক লাগিয়ে সিমের কাস্টমার কেয়ার থেকে কল দিয়েছে দাবি করে আমার কিছু ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে। তারপর থেকে আমার ও আমার বোনদের চারিত্রিক ব্যাপারে মিথ্যে অপবাদ রটাচ্ছে। আমার থেকে নেয়া সেই তথ্যগুলো ব্যবহার করে তাদের রটানো অপবাদকে সত্য সাবস্ত্য করছে। আমার পরিচিত এক ব্যক্তির মনে আমাদের প্রতি ঘৃণাবোধ সৃষ্টি করছে।
আমার পরিচিত ঐ ব্যক্তি প্রথমবার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমি জানাই যে এগুলো মিথ্যা অপবাদ। তার ভাষ্যমতে তিনি আমার কথা বিশ্বাস করেছেন।
তখন আমি এক মেয়েকে সন্দেহ করেছিলাম শুরুতে যে এই লোককে আমার পেছনে লাগাতে পারে। কিন্তু আমার কাছে প্রমাণ না থাকায় আমি ব্যাপারটা এড়িয়ে যাই।

কিন্তু এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। যেহেতু তিনি কোন প্রতিক্রিয়া দেখান নি, মেয়েটা আবার আরেকটা প্রতারণার আশ্রয় নেয় এবং আবার আমার বিরুদ্ধে ঐ লোক লাগিয়ে আরও জোরালোভাবে আমাকে বদনাম করে। এবার আমি এটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি। এখন আমার পরিচিত ব্যক্তিও রটানো অপবাদে বিশ্বাস করছেন।
আমার কিছু বলা না বলা এখন সমান হয়ে গেছে।

এমতাবস্থায় কুরআনে যখন পথনির্দেশ খুঁজছি তখন এই আয়াতগুলো সামনে আসছে যে—
আমি যেন বিচলিত না হই।
বাতিলপন্থিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আল্লাহ পাপাচারীদেরকে অবকাশ দেন, অতঃপর পাকড়াও করেন।
তারা যে বিষয় নিয়ে ঠাট্টা করে তা দ্বারাই তাদেরকে পাকড়াও করা হবে।
আমি যেন বিপদে ধৈর্য ধারণ করি।
তাড়াহুড়া যেন না করি।
তাড়াহুড়া করা শয়তানের কাজ।
গোপন বিষয়ের অনুসন্ধান যেন না করি।
যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার পেছনে যেন না পড়ি।
নিজের অভ্যন্তরীন অবস্থা যেন পরিবর্তন করি, আল্লাহ আমার অবস্থা পরিবর্তন করে দেবেন।
পাপাচারীরা যেন সামান্য হেসে নেয়, শীঘ্রই তাদের কৃতকর্মের ফল পাবে।
ইউনূস আ. এর কাহিনী।
আল্লাহর প্রতিশ্রুত ওয়াদা সত্য।
বারবার ধৈর্য ধারণের ইঙ্গিত পাচ্ছি। আয়াতে, বিভিন্ন ইসলামিক ভিডিওতে।
আল্লাহ থেকে যেন নিরাশ না হই।
যেন আল্লাহর উপর সন্দিহান না হই।
আল্লাহর নিকট গোপন আর প্রকাশ্য উভয়ে সমান।

আমার সাথে শত্রুতা পোষণকারীদেরকে ক্ষমা করে দিতে চেয়েছিলাম, যদিও এতকিছুর পর এটা খুব কষ্টকর।
তখন এই আয়াতটা সামনে আসে—
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহ বলছেন, তাদের(মুনাফিক) জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা- না করা উভয়ে সমান। তাদের জন্য তিনি সত্তর বার ক্ষমা চাইলেও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না।

বিভিন্ন ইসলামিক মোটিভেশনাল কথা আমার সামনে আসছে—
সবর আর সালাতের মাধ্যমে দুআ করার আয়াত।
ভাঙ্গা জিনিস ভাঙ্গা থাকতে দাও, সময় এলে আপনা আপনি জুড়ে যাবে।
সময়ের আগে দৌড়িও না, সময়ের আগে দৌড়ে যাওয়া ব্যাক্তি খালি হাতে ফিরে আসে।
যা আমার তাকদীরে লেখা তা সময় এলে আমারই হবে, নয়তো এসেও ফিরে যাবে।
আল্লাহ ভেঙে যাওয়ার মধ্যে জুড়ে যাওয়ার সমস্ত রহস্য লুকিয়ে রাখেন।

যেহেতু আমি প্রতিশোধ নিতে রাজি না। আমার ভালো-মন্দের ফয়সালা একান্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে আসুক চাই। আমি চাই না কোন ভুল স্টেপ নিয়ে আল্লাহ যা ইচ্ছা করছেন তার বিপরীত কিছু করে আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে ফেলি।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল কিছুই তো আল্লাহর পরিকল্পনার অধীন। আমি যখনই নীরব থেকেছি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে বরাবরের মতোই সবথেকে সুন্দর সাহায্যগুলো পেয়েছি।
দুনিয়ার থেকে প্রত্যাশা আমাকে বারবার ভেঙেছে, আল্লাহর থেকে আশা করে আলহামদুলিল্লাহ কখনো ব্যর্থ হইনি।
তাই আমি কোনভাবেই আল্লাহর সাহায্যের বিন্দুমাত্রও হারাতে চাই না।
❓এ দিকগুলো বিবেচনায় নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা না নেওয়াটা কি ঠিক হবে? সাইবার সিকিউরিটির মাধ্যমে শুধু এতটুকু জানতে চেয়েছিলাম যে আমার কতটুকু তথ্য চুরি করে ব্যবহার করছে এবং এখনও করে যাচ্ছে কিনা। এখনও তথ্য চুরি চলমান থাকলে এই প্রসেসটা বন্ধ করে দিতে যাতে পারে।❓

[উল্লেখ্য যে, আমি সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা নেবার নিয়ত করলেই এমন আয়াত, এমন ইসলামিক ভিডিও সামনে আসছে যেগুলো আসলে আমার এই নিয়তের বিপরীত দিকে ইঙ্গিত করছে। আমার মনে হচ্ছে আমাকে এই সহায়তা নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে না। আমার এত জ্ঞান নেই যে আল্লাহর ইঙ্গিত সঠিকভাবে বুঝতে পারব। উস্তাদ, আমাকে পরামর্শ দিয়ে এই দ্বিধাদ্বন্দ থেকে বের হয়ে স্থির থাকতে পারার ব্যাপারে সহায়তা করবেন। ইন শা আল্লাহ।]

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা নিতে পারেন,এতে কোনো সমস্যা নেই।

বরং নিজের ও নিজের পরিবারের ইজ্জত সম্মান বজায় রাখতে সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা নেয়া এক্ষেত্রে জরুরিও বটে।

সাইবার সিকিউরিটির সহায়তা নেয়ার পর তথ্য চুরির ব্যাপারে নিশ্চিত হলে সেক্ষেত্রে চাইলে আইনের দারস্থ হতে পারেন,শরীয়তের পক্ষ থেকে অনুমতি রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...