ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
আংটি রাসূলুল্লাহ
সাঃ ব্যবহার করেছেন।এজন্য পুরুষ মহিলা সবার জন্য আংটি ব্যবহার জায়েয।মহিলারা স্বর্ণ,রূপা ইত্যাদি ধাতু দ্বারা আংটি ব্যবহার করতে পারবে।
তবে পুরুষের
জন্য স্বর্ণের আংটি ব্যবহারের কোনো অনুমোদন নেই।হ্যা রুপার আংটি ব্যবহারের অনুমোদন
রয়েছে।কারো কারো মতে তা সুন্নাত ও। কিন্তু রূপা ব্যতিত অন্য কোন ধাতু দ্বারা পুরুষরা
কি আংটি ব্যবহার করতে পারবে?
এ সম্পর্কে
ফুকাহাদের মতবিরোধ রয়েছে,
এবং এ মতবিরোধের
কারণ আংটি সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী হাদীস সমূহ।
আব্দুল্লাহ
ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلًا، جَاءَ إِلَى
النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ شَبَهٍ،
فَقَالَ لَهُ: «مَا لِي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ الْأَصْنَامِ» فَطَرَحَهُ، ثُمَّ
جَاءَ وَعَلَيْهِ خَاتَمٌ مِنْ حَدِيدٍ، فَقَالَ: «مَا لِي أَرَى عَلَيْكَ
حِلْيَةَ أَهْلِ النَّارِ» فَطَرَحَهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مِنْ أَيِّ
شَيْءٍ أَتَّخِذُهُ؟ قَالَ: «اتَّخِذْهُ مِنْ وَرِقٍ، وَلَا تُتِمَّهُ مِثْقَالًا»
একদা এক ব্যক্তি
পিতলের আংটি পরিহিত অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলে তিনি তাকে
বলেনঃ আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? এ কথা শুনে লোকটি আংটি ছুঁড়ে ফেলে দিলো। অতঃপর সে
একটি লোহার আংটি পরে এলে তিনি বলেনঃ আমি তোমার নিকট জাহান্নামীদের অলংকার দেখছি কেন?
লোকটি এটিও ছুঁড়ে ফেলে দিলো। লোকটি
বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাহলে কিসের আংটি ব্যবহার করবো?
তিনি বলেনঃ রূপার আংটি ব্যবহার করো,
তবে তা যেন এক মিসকাল এর অধিক না হয়।(সুনানে
আবি-দাউদ-৪২২৩)
وعن إياس
بن الحارث بن المعيقيب عن جده قال : كان خاتم النبي صلى الله عليه وسلم من حديد
ملوي عليه فضة ، قال فربما كان في يدي ، قال ، وكان المعيقيب على خاتم النبي صلى
الله عليه وسلم ،
লোহার একটি
আংটি রূপা দিয়ে মুড়ানো ছিল। তিনি বলেন, সেটা কখনো আমার নিকট থাকতো। বর্ণনাকারী বলেন,
মু’আইক্বীব (রাঃ) ছিলেন নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর আংটির যিম্মাদার।(সুনানে আবি দাউদ-৪২২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট
করুন- https://www.ifatwa.info/8150
আংটিতে আল্লাহর
নাম বা কুরআনের আয়াতের কোনো অংশ বিশেষ থাকলে কোনো হবে না। তবে উক্ত আংটিকে বাথরুমে
নিয়ে যাওয়া যাবে। হায়েয নেফাস বা জুনুবী মহিলা পড়তে পারবে না।
روى
البخاري (5877) ومسلم (2092) عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اتَّخَذَ خَاتَمًا مِنْ
فِضَّةٍ ، وَنَقَشَ فِيهِ "مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ" وَقَالَ : (
إِنِّي اتَّخَذْتُ خَاتَمًا مِنْ وَرِقٍ ، وَنَقَشْتُ فِيهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ
اللَّهِ ، فَلا يَنْقُشَنَّ أَحَدٌ عَلَى نَقْشِهِ ) .
রাসূলুল্লাহ
সাঃ এর হাতের আংটিতে ”মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” লিখা ছিলো। (সহীহ বোখারী-৫৮৭৭)
এ ছাড়া আরো
অনে উলামায়ে কেরাম আংটিতে আল্লাহর নাম ব্যবহার করেছেন। বাথরুম ইত্যাতে এ সমস্ত আংটি
নিয়ে যাওয়া মাকরুহ।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী না অজু ছাড়া আয়াতুল
কুরসী লিখিত ব্রেসলেট ব্যবহার করা যাবে না। এটা একদিকে আল্লাহর বাণীর প্রতি অসম্মান।
অন্যদিকে ইহূদী-খৃষ্টানদের অনুসরণ। যারা ক্রুস বা অনুরূপ কিছু ঝুলিয়ে রেখে সম্মান প্রদর্শন
করে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য কওমের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ,
আবুদাঊদ, মিশকাত -৪৩৪৭)।
২. অজু ছাড়া আয়াত স্পর্শ করা যাবে না। তবে দোয়া স্পর্শ করা যাবে। তথাপি উত্তম হলো, দোয়াও অজু ছাড়া স্পর্শ না করা।