আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
) বিতির নামাজে সালাম ফেরানোর সময়❝ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ❞ এর জায়গায় মনে হলো পড়লাম ❝আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাত্বুল্লহ❞


মানে রহমাতুল্লহ তে তা এর জায়গায় ত্ব উচ্চারণ করেছি এরকম মনে হলো, নামাজ হবে?


২)যদি কখনো মনে হয় রুকু করিনি নামাজে, তখন শেষ বৈঠকে দুই সিজদাহ দেওয়ার পরেই বসে আত্তাহিয়াতু না পড়ে, উঠে আগে রুকু করে নিই। তবে সেই রুকুতে আমি একেবারে সোজা হয়ে না দাঁড়িয়ে যেভাবে উঠেছি সেভাবেই বাঁকাভাবে রুকুতে চলে যাই। এরকম করলে কি নামাজ হবে? এর আগে অসংখ্য নামাজে এমন রুকু না করার ওয়াসওয়াসা আসায় এমনটিই করেছি।


৩) সাহু সিহজদাহ তে দুই সিজদাহ দেওয়ার পর শুধু আত্তাহিয়াতু পড়ে দুই দিকে সালাম ফেরালে নামাজ হবে কি? যদি দুরুদ দুয়া মাসুরা না পড়ি।


৪) কিছু নামাজে এমন হয়েছে যে, দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সিজদাহ দেওয়ার নিয়ত করেছি মানে দুইটা সিজদাহ দেব, কিন্তু নামাযে দুইদিকে সালাম ফিরানোর পর দুই সাহু সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করে দিই, অতঃপর মনে হয় যে একটা সাহু সিজদাহ ও দিইনি, তখন সাথে সাথে দুই সাহু সিজদাহ দিয়ে নামাজ শেষ করি, তাহলে নামাজ হবে কি?

 নামাজে দুইদিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু দুই সিজদাহ না দিয়েই আত্তাহিয়াতু শুরু করি এবং তারপর দুই সিজদাহ দিয়ে দুই দিকে সালাম ফেরাই

এমন টা করার কারণে আমার আগের নামাজ গুলো কি হয়েছে?


৫) সাহু সিজদাহ দেওয়ার পর দুই সালাম ফেরানোর আগে আত্তাহিয়াতু পড়া কি ওয়াজিব?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এক্ষেত্রে নামাজ হয়ে যাবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
মুগীরাহ্ বিন শু’বাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত।
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ الْإِمَامُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَإِنْ ذَكَرَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوِي قَائِما فليجلس وَإِنِ اسْتَوَى قَائِمًا فَلَا يَجْلِسْ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْو» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর (প্রথম বৈঠকে না বসে তৃতীয় রাক্’আতের জন্যে) উঠে গেলে যদি সোজা দাঁড়িয়ে যাবার পূর্বে মনে হয় তাহলে সে যেন বসে যায়। আর যদি সোজা দাঁড়িয়ে যায় তবে সে বসবে না (এবং শেষ বৈঠকে) দু’টি সাহু সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। (মিশকাত-১০২০,আবূ দাঊদ ১০৩৬, ইবনু মাজাহ্ ১২০৮, ইরওয়া ৪০৮)


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

এক্ষেত্রে আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন। কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হলে সেক্ষেত্রে কম সংখ্যক রাকাত ধরে নামাজ আদায় করতে হবে,শেষে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে।

এক্ষেত্রে প্রকৃত পক্ষে পাঁচ রাকাত পড়া হলেও নামাজ হয়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন। 
আপনার যদি প্রবল ধারণা হয় যে আপনি রুকু করেছেন,সেক্ষেত্রে সন্দেহকে আর পাত্তা দিবেননা।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে রুকু করেননি,সেক্ষেত্রে মনে হওয়া মাত্র আপনি রুকু আদায় করবেন,এবং শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।

কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হলে সেক্ষেত্রে কম সংখ্যক রুকু ধরে বাকি রুকু আদায় করতে হবে,শেষে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে।

এক্ষেত্রে যেই রুকনেই মনে পড়বে,সাথে সাথে সেই রুকু আদায় করবেন,এবং শেষে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে।

فتاوی شامی :

"قال في شرح المنیة: حتی لو ترك سجدةً من رکعة ثم تذکرها فیما بعدها من قیام أو رکوع أو سجود فإنه یقضیها ولا یقضي ما فعله قبل قضائها مما ہو بعد رکعتہا من قیام أو رکوع أو سجود، بل یلزمہ سجود السہو فقط، لکن اختلف فی لزوم قضاء ما تذکرہا فقضاہا فیہ،․․․ففی الہدایة أنہ لا تجب إعادتہ بل تستحب․․․وفی الخانیة أنہ یعیدہ․․․والمعتمد ما فی الہدایة، فقد جزم بہ فی الکنز وغیرہ فی آخر باب الاستخلاف وصرح فی البحر بضعف ما فی الخانیة (2/154 ط: سعید)

সারমর্মঃ-
যদি কেহ কোনো রাকাতে একটি সেজদাহ আদায় ভুলে যায়,সেক্ষেত্রে দাঁড়ানো,রুকু,সেজদাহ যেই অবস্থাতেই তাহা স্মরনে আসবে,সাথে সাথেই সেজদাহ টি আদায় করে নিতে হবে। শেষে সেজদায়ে সাহু দিতে হবে।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে। তবে তা'দিলে আরকান তরক হয়ে যাবে।

তাই ধীরে নামাজের নিয়ম মেনে রুকু আদায় করবেন।

(০৩)
নামাজ হবে।

(০৪)
নামাজ হবে।
আগের নামাজ গুলি আদায় হয়েছে।

(০৫)
শেষ বৈঠকে সাহু সেজদাহ দেয়ার আগে আত্তাহিয়াতু পুরাটা পড়ে থাকলে সাহু সেজদাহ দেয়ার পর আত্তাহিয়াতু পড়া ওয়াজিব নয়। তবে এটি সুন্নাহ। তাই এটি তরক করলেও নামাজ হয়ে যাবে। তবে বিনা ওযরে তরক না করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (24 points)
আল্লহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান এর জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে আমিন ইয়া আল্লাহ!

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 286 views
...