আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্

১ম স্বপ্ন: আমি ঐদিন আইয়্যামে বীজের রোজা রেখেছিলাম, বিকাল চারটায় ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ স্বপ্ন দেখি একজন মেয়ে, একজন ছেলে জঙ্গলে গিয়ে বাঁশ গাছের ভেতরে থাকা আঙ্গুরের মতো কোন একটা ফল খাচ্ছে এবং ফলটা খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছিলো। আমার মনে হচ্ছিল স্বপ্নের মেয়েটা আমি, আর ছেলেটা আমার হাজব্যান্ড।হঠাৎ আমার মনে পরে আমি রোজাদার আর স্বপ্নে খাওয়া ঠিক না, এরপরই আমার ঘুম ভেঙে যায়। এবং সাথে সাথেই আবার ঘুমিয়ে যাই।

২য় স্বপ্ন: পরক্ষণেই আমি আরেকটি স্বপ্ন দেখি। আমার গ্রামের বাড়ির কবরস্থান আর রাস্তার মাঝের ছোট একটা ড্রেন আছে, আমি ঐ ড্রেনে দাঁড়িয়ে জিমকে পড়াচ্ছি (আমি একটি মাদ্রাসায় খেদমতে আছি, ওখানের একটা ছোট মেয়ের নাম জিম)।কিন্তু ওর পিছে মানুষের মতো দেখতে একটা মেয়ে জ্বিন দাঁড়িয়ে আছে, জ্বিনটা জিম মেয়েটার সাথে দুষ্টামি করছে ওকে পড়তে দিচ্ছে না বলে আমি জ্বিনটাকে ধমক দেই এবং জিমকে মারতে চাই। তখন ঐ জ্বিনটা বলে ও চলে যাবে, আমি যেন জিম মেয়েটাকে না মারি।এরপর সে চলে যায়।

কবরস্থানের পাশেই লাগোয়া মসজিদ এবং মসজিদ,কবরস্থান ও রাস্তার পাশেই একটা ছোট,সুন্দর পরিপাটি ঘর।আমি সে ঘরে ঢুকি এবং যতদূর মনে পরে ঐ ঘরটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বীনি এক বড় আপুর বলেই বেশি মনে হচ্ছে। আমি রুমে ঢুকেই দেখি দুটা ছোট সাইজের খাট,রুমের চাদর,পর্দা সব সাদা রঙের,ছিমছাম ও খুব গুজানো। আমি ঢুকেই আপুকে বলি একটা মেয়ে সেন্সলেস হয়ে বাইরে পরে আছে,ওকে একটু ঘরে এনে সেবা দিতে।আমি তখন সূরা ফাতিহা পড়া শুরু করি এবং দুটা শব্দ পড়ার সাথে সাথে ঐ ঘর থেকে পুরুষ লোকের শব্দ শুনি।মানে নন মাহরাম সামনে চলে আসলে সতর্কতাস্বরূপ যে আওয়াজ করে এমন ২/৩টা শব্দ শুনি। পরে আপুকে জিজ্ঞেস করি যে ভাইয়া বাসায় কি না। উনি বলে হ্যা, বাসায়। এ কথা বলার সাথে সাথে আমি তাকিয়ে দেখি আমার একদম সামনে খাটে মশারি টানানো এবং ঐ আপুর হাজব্যান্ড খাটে বসা। অনুমান করতে পেরে আমি আস্তাগফিরুল্লাহ বলে দৌড়ে ঐ ঘর থেকে বের হয়ে যাই এবং আমাদের বাড়িতে চলে আসি।আমাদের বাড়ির পাশে মসজিদ সংলগ্ন একটি খালি জায়গা আছে। সেখানের সবাই সাদা পান্জাবি পরিহিত, সুন্নতি লেবাসের মানুষ।একজন সামনে বসে আছেন, উনি বিচারক, আর বাকি সবাই উনার দিকে মুখ করে বসে আছে। আমি পর্দার আড়াল থেকে দেখি ভাইয়া নামক ঐ লোকটা (আপুর হাজব্যান্ড) সাদা একটা পাঞ্জাবি পরে বাইরে বের হয়ে আসছে এবং ঐ বিচারসভার প্রধান বিচারক যিনি উনাকে আফফান বা কিছু একটা সম্বোধন করে বলছে উনার ছোট মেয়েটা অসুস্থ হয়ে গেছে,যেন একটু ঝাড়ফুঁক করে আসে।তখন ঐ যুবক (বিচারক) বলেন উনার একটু সময় লাগবে, নামাজ পরে এরপর যেতে পারবেন। তখন উনি উত্তর দেন তাহলে তো অনেক দেরী হয়ে যাবে, এরপর উনি তানজিল আরেফীন বা এরকম নামের আরেকজনকে খোঁজ করেন।তখন জানানো হয় ঐ ব্যক্তি এখানে উপস্থিত নাই।
বিশেষত উল্লেখ্য যাকে আমি আপুর হাজব্যান্ড ভেবেছিলাম উনি যখন বাইরে বের হয়ে আসলেন তখন আমার প্রবলভাবে মনে হচ্ছে উনি রাসূল (স:), দেখতে বেশ সুঠাম- সুদর্শন, নূরানী চেহারা, দেখে অন্তরে সুকুন লাগছে, আমি খুব আন্তরিকতার সাথে তাকিয়ে ছিলাম। যিনি বিচারক ছিলেন উনার চেহারাও অনেক নূরানী ছিলো। স্বপ্নের শেষের অংশ দেখে আমার খুব প্রশান্তি লাগছিলো, মনে হচ্ছিল নবী ও তার সাহাবীদের যুগে চলে আসছি।
মেহেরবানি করে আমাকে এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানাবেন ইনশাআল্লাহ্। জাযাকাল্লাহু খইরন।

(উল্লেখ্য আমি অবিবাহিত, একটি মহিলা মাদ্রাসায় আবাসিক খেদমতে আছি। বেশকিছু কারণে গতমাসে একজন রাক্বী দ্বারা রুকইয়াহ চিকিৎসা করাই এবং উনি আমাকে কিছু অডিও শুনতে এবং ২১দিন বদনজরের গোসলের কথা বলেন। কিন্তু ব্যস্ততা এবং অলসতার কারণে আমার এগুলোর কোনটিই করা হয় নি।তবে আমি মাসনুন আমলগুলো নিয়মিত করি আলহামদুলিল্লাহ)

1 Answer

0 votes
by (568,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার এই স্বপ্নগুলো মনের কল্পনার বহির্প্রকাশ মনে হচ্ছে। আপনি সঠিকভাবে রুকইয়াহ করুন।আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...