ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুহতারামাহ্ দ্বীনের বুঝ চলে আসায় দ্বীনের আপনার দরদ দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত।আল্লাহ পাক আপনাকে আরো বেশী দ্বীনের বুঝ দান করুন।আপনার সকল সমস্যা দূর করুক।আপনার মাতাপিতাকে দ্বীনের সমঝ দান করুক।
আপনার বর্ণিত পরিবেশ অনুযায়ী উক্ত কলেজে পড়া আপনার জন্য এমনকি কখনো কোনো মেয়ের জন্য জায়েয হবে না।আপনার বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে,উক্ত কলেজ শয়তানের পুরো আড্ডাখানা।
তাই যে কোনো মর্মে এই কলেজ থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে হবে।
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
ﻓَﺎﻟْﻌَﻴْﻨَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ، ﻭَﺍﻟْﺄُﺫُﻧَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟِﺎﺳْﺘِﻤَﺎﻉُ، ﻭَﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥُ ﺯِﻧَﺎﻩُ ﺍﻟْﻜَﻠَﺎﻡُ، ﻭَﺍﻟْﻴَﺪُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺒَﻄْﺶ،ُ ﻭَﺍﻟﺮِّﺟْﻞُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ، ﻭَﺍﻟْﻘَﻠْﺐُ ﻳَﻬْﻮَﻯ ﻭَﻳَﺘَﻤَﻨَّﻰ، ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻕُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟْﻔَﺮْﺝُ ﻭَﻳُﻜَﺬِّﺑُﻪُ
চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত।
কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা।
জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন।
হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ।
পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা।
অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে]
এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
আপনি আপনার পিতামাতাকে বুঝান।হেকমত ও ধর্য্যর সাথে।প্রাথমিকভাবে তাদের দ্বীনের দাওয়াত দিন।আখেরাতের আযাব সম্ভলিত কিতাব পুস্তিকা তাদেরকে পড়তে দিন এবং অডিও-ভিডিও বয়ান তাদেরকে শুনার ব্যবস্থা করে দিন।
প্রভাব বিস্তার করে এমন কোনো ভিডিও বয়ান প্রথমে আপনার আম্মুকে শুনান।মেয়েদের দিল নরম থাকে,সে হিসেবে আপনি যদি আপনার মাকে বুঝাতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনার সমস্যার পুরোটাই সমাধান হয়ে যাবে।
প্রয়োজনে মিথ্যা বলা জায়েয।যদি আপনার সামনে ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকে,তাহলে এ হারাম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে মিথ্যাও বলতে পারবেন।জানুন-