আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+13 votes
1,819 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,আমি ক্যাডেট কলেজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ি,বর্তমানে ৯ম শ্রেনিতে আছি।দ্বীনের বুঝ পেয়েছি বেশিদিন হয়নাই,৩-৪ মাস।বেশ কিছু বার্ডেন আছে,যাই হোক এই situation এর সাথে এখন মানায় নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। বাট এখন আমি মোটামুটি depressed হয়ে আছি, কারন আবার যদি কলেজে যাওয়া লাগে! আসলে আমি আর চিন্তাও করতে পারি না যে আবার কলেজে যাওয়া লাগবে।আসলে আমি যতদুর জানি কলেজের most of the রুলস ই হারাম। যেমন খাকি টাইপের হারাম ড্রেস পরা লাগবে,আসলে ক্যাডেট কলেজে আমরা মেয়েদেরও শার্ট প্যান্ট পরা লাগে।  গা শিরশির করে মনে হলেই।আরো হারাম কাজ যেমন মিউজিক শোনা লাগে, নাচ গানের মত হারাম কাজেও বাধ্যহয়ে পার্টিসিপেট করা লাগে,নন মাহরামদের সাথে হ্যান্ড শেক করা লাগে,আর সত্যি বলতে কি আরো অনেক হারাম কাজই করা লাগে যা বলতে পারছিনা।আর এ কাজগুলোর সব করতে আমরা বাধ্। এমতাবস্থায় ক্যাডেট কলেজের মত একটা জায়গায় দ্বীনের বুঝপাওয়ার পর যাওয়াটা আমার জন্য অসম্ভব প্রায় ,, কিন্তু আমার     parents directly না করে দিয়েছে যে আমাকে কলেজ থেকে আনবে না, পরামর্শ চাই আমি কি করতে পারি,কেমনে বললে আম্মু আব্বু আমাকে অই কুফরি জায়গা থেকে আনবে,actually at any costআমি রাজি কলেজ থেকে আসতেে।(আসলে কলেজের অবস্থা খুবই জঘন্য, মানে হারাম কাজ দিন দিন বেড়েই চলেছে,principal sir ক্যাডেট দেখলেইhand shake করে যা স্পষ্টতই হারাম,ডর্মে কুরআন রাখাও banned করেছে উনি)এই জায়গায় আরো ৪টা বছর থাকা  কোনোভাবেই পসিবল না।আমি সত্যিই  দ্বিধায় আছি কি করব বুঝতে পারছি না,মাঝে মাঝে প্রচন্ড হতাশ হয়ে যাই,,
by
+1
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
 আপু আপনার লেখাটা পড়ে সত্যিই খুব কষ্ট লাগলো। আল্লাহ যেহেতু আপনাকে হিদায়াহ দিয়েছেন, তিনিই আপনাকে সাহায্য করবেন।আপনার জন্য অন্তর থেকে দুআ করি, আল্লাহ আপনার জন্য সব সহজ করে দিক, একটা দ্বীনি পরিবেশ সৃষ্টি করে দিক। আমীন।                      
by (25 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম 
ক্যাডেট কলেজে কি নামাজও পড়তে দেয় না?
by (8 points)
বাংলাদেশে জেনারেল লাইনে পড়া ঠিক নয় সম্ভবত হারাম। নিচে বেশকিছু কারণ বলা হবে ইনশাআল্লাহ। মনোযোগ দিয়ে পড়বেন  ইনশাআল্লাহ।

১. সবচেয়ে প্রথম যে গুরুতর সমস্যাটি আমার কাছে মনে হচ্ছে সেটা হচ্ছে ইসলামবিরোধী যেমন শির্ক, কুফুরি বিষয় পড়ানো হচ্ছে বিশেষ করে বাংলা বইতে। আপনি যদি শির্ক ও কুফুরি এবং ইসলামবিরোধী বিষয় কোনগুলো সে  সম্পর্কে জেনে থাকেন তাহলে এগুলো ধরতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
 ডঃ আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া বলেছেন পরীক্ষায় কুফরি প্রশ্ন আসলে আপনি লিখতে পারবেন না। তবে বাধ্য হলে সেটা ভিন্ন কথা।

২. সহশিক্ষা এবং বেপর্দা শিক্ষিকা : সহশিক্ষা সম্পর্কে কারো কোন দ্বিমত নেই যে এটা হারাম। ছেলে মেয়ে একসাথে পড়ার নাম হল সহ শিক্ষা। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষিকারা বেশিরভাগই বেপর্দা হয়ে পড়ায়, কেউ যদি পরিপূর্ণ পর্দা করে ও আসে তবুও তার কণ্ঠস্বর এর পর্দা রয়েছে। ছেলেদের ছেলে পড়াবে এবং মেয়েদের মেয়ে পড়াবে এটা ইসলামিক নিয়ম।

৩. জেনারেল লাইনে পড়লে আপনার ছেলে-মেয়ে কুরআন হাদীস তথা ইসলাম সম্পর্কে জানার সম্ভাবনা খুব কম। এখানে" ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা " বিষয়ে  বই রয়েছে, সেটি অবশ্যই ভালো তবে যথেষ্ট নয়, আরো অনেক কিছু জানার প্রয়োজন রয়েছে এটা আমার মনে হয়। দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। তাই এ বিষয়টিও আপনাকে ভাবতে হবে।

৪. বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমার জানা মতে  সকাল ৮.৩০ থেকে ১.৩০ পর্যন্ত ক্লাস হয়, তাই ছেলেদের জন্য চাইলেও অনেক সময় যোহরের সালাত জামাতে আদায় করতে পারে না।  স্কুল কলেজের পরীক্ষা এবং বোর্ড পরীক্ষা গুলো এমন টাইমে হয় যেখানে ওয়াক্ত মোতাবেক আপনি সালাত পড়তে পারবেন না, সালাতের সময় বাদ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৫. বাংলাদেশের কিছু কিছু স্কুল কলেজ বা সম্ভবত ভার্সিটিগুলোতে মেয়েদের পর্দা করতে দেওয়া হয় না, সুখ এবং সম্ভবত টাখনুর উপরে প্যান্ট এবং দাড়ি রাখলে শিক্ষক শিক্ষিকারা ধরে। তাই সেখানে ইসলাম পালন কঠিন হয়ে যায়।

৬. স্কুল কলেজ বা ইউনিভার্সিটি গুলোতে বিভিন্ন হারাম জিনিস করতে বলা হয় যেমন শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,  কারো মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা ইত্যাদি। এগুলো হারাম তাতে সন্দেহ নেই। এগুলো করার মাধ্যমে শির্ক এর সম্ভাবনা রয়েছে।

৭. টিচার শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলে তার সম্মানে দাঁড়িয়ে যেতে হবে সবাইকে, এটা ঠিক নয়।  শুধু সম্মানের জন্য দাঁড়ানো ঠিক নয়। এ বিষয়ে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখে নিতে পারেন।

৮. মাঝে মাঝে এসব প্রতিষ্ঠানে নাচ গান, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির আয়োজন করা হয় ছেলে মেয়ে সবাই সেখানে উপস্থিত থাকে এবং অংশগ্রহণ করে।  তবে এসব নাচ-গানে অংশগ্রহণ না করলেও অনেক সময় বাধ্যতামূলকভাবে উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হয়।

 আমি যেগুলো বললাম সেগুলো ছাড়া হয়তো আরো অনেক ইসলামবিরোধী জিনিস থাকতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানে আমাদের ছেলেমেয়েদের পরানো এবং নিজেদের পড়া উচিত নয় বলে আমি মনে করি। আপনি বেসরকারি কওমি মাদরাসায় আপনাদের ছেলেমেয়েদের অবশ্যই পড়াবেন। সেখানে উপরের যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো পাবেন না। বাংলাদেশের দুই ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে বেসরকারি -কওমি মাদ্রাসা এবং সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা।এগুলোর মধ্যে কওমি মাদ্রাসাটাই সবচেয়ে ভালো বলে আমার মনে হয়। যারা ইতিমধ্যে পড়ালেখা করছেন তারা দ্রুত এ লাইন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। আপনি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

 এই পোস্টের মধ্যে কোন ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং শেয়ার করতে পারেন এবং পোস্টটি কপি করতে পারেন। আপনার আশেপাশে যারা থাকে তাদেরকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে পারেন।
by
কলেজ স্পেসিফিকালি না করে না সালাত আদায়ে। তবে সালাতের টাইমে ফাংশন দিবে কিংবা ড্রিল প্র্যাক্টিস দিবে। এভাবে মাসে বেশ কয়েক ওয়াক্ত সালাতই কাযা হওয়ার পসিবিলিটিথাকে অনেক, যদি না ডিটারমিনেশন অনেক বেশি থাকে।  
by
ক্যাডেট কলেজে সহশিক্ষা নেই, তবে এরচাইতে ভয়াবহ কিছু আছে। আর এই যুগে আসলে পসিবল হয়না দ্বীন শতভাগ মেনে চলা একজন ডিপেন্ডেট ব্যক্তির জন্য। কিংবা জেনারেল লাইনে পড়াশুনা ছাড়ার বিষয়টাও খুব কঠিন, যারা ফেস করে তারাই জানে।

1 Answer

+6 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মুহতারামাহ্ দ্বীনের বুঝ চলে আসায় দ্বীনের আপনার দরদ দেখে আমরা সত্যিই আনন্দিত।আল্লাহ পাক আপনাকে আরো বেশী দ্বীনের বুঝ দান করুন।আপনার সকল সমস্যা দূর করুক।আপনার মাতাপিতাকে দ্বীনের সমঝ দান করুক।

আপনার বর্ণিত পরিবেশ অনুযায়ী উক্ত কলেজে পড়া আপনার জন্য এমনকি কখনো কোনো মেয়ের জন্য জায়েয হবে না।আপনার বর্ণনা অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে,উক্ত কলেজ শয়তানের পুরো আড্ডাখানা।
তাই যে কোনো মর্মে এই কলেজ থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে হবে।

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন,
ﻓَﺎﻟْﻌَﻴْﻨَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮُ، ﻭَﺍﻟْﺄُﺫُﻧَﺎﻥِ ﺯِﻧَﺎﻫُﻤَﺎ ﺍﻟِﺎﺳْﺘِﻤَﺎﻉُ، ﻭَﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥُ ﺯِﻧَﺎﻩُ ﺍﻟْﻜَﻠَﺎﻡُ، ﻭَﺍﻟْﻴَﺪُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺒَﻄْﺶ،ُ ﻭَﺍﻟﺮِّﺟْﻞُ ﺯِﻧَﺎﻫَﺎ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ، ﻭَﺍﻟْﻘَﻠْﺐُ ﻳَﻬْﻮَﻯ ﻭَﻳَﺘَﻤَﻨَّﻰ، ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻕُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟْﻔَﺮْﺝُ ﻭَﻳُﻜَﺬِّﺑُﻪُ
চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত।
কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা।
জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। 
হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। 
পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। 
অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] 
এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

সহশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-



আপনি আপনার পিতামাতাকে বুঝান।হেকমত ও ধর্য্যর সাথে।প্রাথমিকভাবে তাদের দ্বীনের দাওয়াত দিন।আখেরাতের আযাব সম্ভলিত কিতাব পুস্তিকা তাদেরকে পড়তে দিন এবং অডিও-ভিডিও বয়ান তাদেরকে শুনার ব্যবস্থা করে দিন।

প্রভাব বিস্তার করে এমন কোনো ভিডিও বয়ান প্রথমে আপনার আম্মুকে শুনান।মেয়েদের দিল নরম থাকে,সে হিসেবে আপনি যদি আপনার মাকে বুঝাতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনার সমস্যার পুরোটাই সমাধান হয়ে যাবে।

প্রয়োজনে মিথ্যা বলা জায়েয।যদি আপনার সামনে ভিন্ন কোনো রাস্তা না থাকে,তাহলে এ হারাম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে মিথ্যাও বলতে পারবেন।জানুন-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...