আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার একবছরের ছেলে অস্পষ্ট আল্লাহ আল্লাহ জিকির করছিলো,তখন আমি খাবার খাওয়াবো তাই ছেলেকে বলেছিলাম "আব্বু এদিকে আসো এখন আল্লাহ আল্লাহ বলতে হবে না।"

এ কথা ছেলের বাবা শুনে আমাকে বললো এটা তুমি কি বললা "এখন আল্লাহ আল্লাহ বলতে হবেনা" এটা বলললা কেন,,এটাতো কবীরা গুনাহ হয়েছে তাই তওবা করো।

আমি বললাম আমিতো এখন বলতে মানা করেছি খাওয়াবো তাই।এটা কবীরা গুনাহ হবে কেন?

তখন আমার হাসবেন্ডকে বললাম কেউ সূরা পড়লে তখন যদি বলি এখন সূরাটা পড়োনা ওই কাজটা করো,তাহলে কি গুনাহ হবে? ওনি বলে না।আমি বললাম এটাইতো এমই একটা বিষয়।

আমার হাসবেন্ড বলতেছে ওইটা আর এটা আলাদা।তোমার কবীরা গুনাহ হয়েছে, তওবা করো,আমি বলেছি কবীরা গুনাহ হয়নি।

এরকম দুই তিনাবার বলার পর আমি কবীরা গোনাহ হয়েছে এটা স্বীকার না করাতে ওনি আমার মাথার মধ্যে লাথি মারে,আর রুম থেকে চলে যেতে বলে।

এখন বলেন শায়েখ এই বাক্যটা বাচ্চাকে বলা কি আমার কবীরা গোনাহ হয়েছে?

আর বাচ্চাকে "আল্লাহ বলো" "আল্লাহ বলো "বলা যাবে কিনা?এটা বললে কি কোন গুনাহ হবে নাকি অনুচিত?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

সন্তান মা-বাবার হাতে আল্লাহর আমানত, তাঁর দেয়া নেয়ামত। এদেরকে সুশিক্ষা দেয়া হল কি না সে বিষয়ে কিয়ামতের দিন পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। কোনো কোনো মা-তো নিজের অজান্তেই সন্তানের মন্দ স্বভাবের কারণ বনে যান। অন্যের খেত থেকে মরিচ, মূলা, আলু ইত্যাদি আনার জন্যে শিশুকে বলেন। এতে করে সন্তান ধীরে ধীরে চুরির পথে পা বাড়ায়। 

তাই একজন দায়িত্ববান ও সচেতন মা হিসাবে প্রতিটি পদক্ষেপে সজাগ থাকা অত্যন্ত জরুরি। মনে রাখতে হবে সন্তানের প্রথম বয়সই তার সংশোধনের উপযুক্ত সময়। একটি শিশু জন্মের পরই মা-বাবার উপর শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কিছু দায়িত্ব এসে পড়ে। 

যেমন শিশুর ডান কানে আযান বাম কানে ইকামত দেয়া। ভাল নাম রাখা। যথাসম্ভব সাত দিনের দিনে আকীকা দেয়া ইত্যাদি। এগুলো হল সন্তান জন্মের পর প্রাথমিক কিছু বিষয়। এরপর আসে সন্তানের সুষ্ঠু লালন-পালন ও আদব শিক্ষা দেয়ার পর্ব। আর সন্তানকে আদব কায়দা শিক্ষা দানের গুরুত্বপূর্ণ সময় হল তারা যখন কথা বলতে শিখে। ঐ সময় তাকে যেটা শিক্ষা দেওয়া হয় সেটাই সে শিখে নিবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
তাবেয়ী ইবরাহীম আততাইমী রাহ. বলেন, তাঁরা (সাহাবীগণ) শিশু কথা বলা শিখলে তাকে কালিমার তালকীন করতেন (মুখে মুখে বলা শিখাতেন)। যাতে শিশুর প্রথম কথা হয় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৩৫১৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটার দরুন কবিরা গুনাহ হবেনা।

বাচ্চাকে "আল্লাহ বলো" "আল্লাহ বলো "বলা যাবে।

এটা বললে কোন গুনাহ হবেনা।
বরং শিশু অবস্থাতেই এভাবে আল্লাহর নাম শিক্ষা দেয়া,কালেমা শিখানো হাদীসের নির্দেশ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...