আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১) কোনো দাসী যদি মালিকের সাথে সহবাস করতে না চায় তাহলে কি দাসীর সাথে সহবাস করা যাবে?
২) যুদ্ধবন্দী কোনো নারীকে দাসী বানানো হলে সে যদি কোনো কারণে মুক্তি কামনা করে তাহলে মালিকের কী করা উচিত? তার কি দাসীকে আযাদ করে দেওয়া উচিত?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/21605/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

দাসদের সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি রসূলে করীম সাঃ নিম্নরূপ ভাষায় ব্যক্ত করেছেনঃ

"তোমাদের দাসেরা তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করে দিয়েছেন। এতএব,যার ভাই তার অধীনস্থ হয়, সে যেন তাকে তাই খাওয়ায় যা সে নিজে খায়। তাই পরিধান করায় যা সে নিজে পরিধান করে। এবং তাকে যেন এমন কাজের ভার না দেয় যা তার জন্য অসহনীয় হয়। যদি এমন কাজের ভার দিতেই হয়, তবে যেন সে নিজেও তাকে সাহায্য করে।"(বুখারী -মুসলিম-আবু-দাউদ)


সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের দিক দিয়ে ইসলাম দাসদেরকে যে মর্যাদা দান করেছে তা স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের মর্যাদার প্রায় কাছাকাছি। সেমতে অন্যান্য জাতির বিপরীতে ইসলাম দাসদের শুধু বিবাহ করার অনুমিতই দেয়নি ; বরং মালিকদেরকে

وانكحوا الايامي منكم

আয়াতের মাধ্যমে জোর তাগিদও করেছে। এমনকি তারা স্বাধীন-মুক্ত নারীদেরকেও বিবাহ করতে পারে। তারা জেহাদেও অংশগ্রহণ করতে পারে এবং যুদ্ধলব্ধ সম্পদে তাদের অংশ স্বাধীন মুজাহিদের সমান। শত্রুকে যে কোন ধরণের নিরাপত্তা দানের ব্যাপারে তাদের উক্তিও তেমনি ধর্তব্য যেমন স্বাধীন ব্যক্তিবর্গের উক্তি। কোরআন ও হাদীসে তাদের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশাবলী এত অধিক বর্ণিত হয়েছে যে,সেগুলোকে একত্রে সন্নিবেশিত করলে একটি স্বতন্ত্র পুস্তক হয়ে যেতে পারে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/5229


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. দাস দাসীর সমস্ত কিছুর মালিক তার মনিব। সুতরাং তারা সহবাসে কখনো বাধা দিতে পারবে না। বিস্তারিত উপরের লিংকে দেখতে পারবেন।

২. দাস-দাসীকে আযাদ করে দেওয়ার প্রতি ইসলাম উৎসাহ দিয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...