আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
১.বর্তমান সময়ে কি কোন স্বাধীন মুসলমান দাস /দাসী হতে পারে?
২. আমার এলাকার এক ছেলে সেই এলাকারই এক মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পড়াতো। পড়ানোর বিনিময় হিসেবে সেই ছেলে মেয়েটাকে বলেছিল যে মেয়েটা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায় তাহলে সে মেয়েটার মনিব হয়ে যাবে। মেয়েটা কিছু না বুঝে ছেলেটার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। পরবর্তিতে মেয়েটা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলে ছেলেটা মেয়েটাকে তার দাসী হিসেবে দাবি করে। উল্লেখ্য মেয়েটা একজন স্বাধীন মুসলমান নারী। এক্ষেত্রে কি আসলেই মেয়েটা ওই ছেলেটার দাসী?
৩.দাসী নাহলে কি মেয়েটা অন্য কোন ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (706,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) বর্তমান সময়ে কি কোন স্বাধীন মুসলমান দাস /দাসী হতে পারে না। তবে যদি আবার আগের মত যুদ্ধ চলে আসে এবং সবাই পরাজিত দলকে দাস হিসেবে ব্যবহার করে, তাহলে তখন মুসলমানরাও কাফিরদেরকে দাস দাসী বানাতে পারবে। নতুবা কোনো মুসলমান কখনো কাউকে দাস দাসী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। বানাতেও পারবে না। 
(২) এটা অযৌক্তিক একটা কথা। কোনো মুসলমান কখনো কাউকে দাস দাসী বানাতে পারবে না। এরকম কথা বা শর্তকে ইসলাম কখনো সমর্থন দেয়না। 
(৩) অবশ্যই মেয়ে অন্য যেকোনো ছেলেকে বিয়ে করতে পারবে। 

https://www.ifatwa.info/5229 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মোটকথা, ইসলাম দাসত্বের ব্যবস্থায় সর্বব্যাপী সংস্কার সাধন করেছে।যে ব্যক্তি এগুলোকে ইনসাফের দৃষ্টিতে দেখবে সে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে বাধ্য হবে যে,ইসলামের দাসত্বকে অন্যান্য জাতির দাসত্বের অনুরূপ মনে করা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত।
এসব সংস্কার সাধনের পর যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার অনুমতি তাদের প্রতি একটি বিরাট অনুগ্রহের রূপ পরিগ্রহ করেছে।

এখানে একথাও স্বরণ রাখা দরকার যে,যুদ্ধবন্দীদেরকে দাসে পরিণত করার বিধান কেবল বৈধতা পর্যন্ত সীমিত।অর্থাৎ ইসলামী র্রাষ্ট যদি উপযুক্ত বিবেচনা করে,তবে তাদেরকে দাসে পরিণত করতে পারে।এরূপ করা মোস্তাহাব বা ওয়াজিব নয়।বরং কোরআন ও হাদীসের সমষ্টিগত বাণী থেকে মুক্ত করাই উত্তম বোঝা যায়।দাসে পরিণত করার অনুমতিও ততক্ষণ যতক্ষণ শত্রুপক্ষের সাথে এর বিপরীত কোন চুক্তি না থাকে।যদি শত্রুপক্ষের সাথে চুক্তি হয়ে যায় যে,তারা আমাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করবে না এবং আমরাও তাদের বন্দীদেরকে দাসে পরিণত করব না,তবে এই চুক্তি মেনে চলা অপরিহার্য হবে।বর্তমান যুগে বিশ্বের অনেক দেশ এরূপ চুক্তিতে আবদ্ধ আছে।কাজেই যেসব মুসলিম দেশ এই চুক্তিতে সাক্ষর করেছে তাদের জন্য চুক্তি বিদ্যমান থাকা পর্যন্ত কোন বন্দীকে দাসে পরিণত করা বৈধ হবে না। (তাফসীর মা'রেফুল কোরআন -পৃষ্টা১২৫৪-বাংলা বার্সন-মুহাউদ্দিন খান অনূদিত - সউদী সরকার কর্তৃক প্রকাশিত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...