ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আল্লাহ তা'আলা বলে,
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ ۚ أُولَـٰئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ ۖ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
এই আয়াতের সহজ অর্থ হচ্ছে,দুশ্চরিত্র নারীর জন্য দুশ্চিত্র পুরুষই উপযোক্ত এভাবে ঠিক তার উল্টো।এ অর্থ নয় যে,দুশ্চরিত্র নারী দুশ্চরিত্র পরুষকেই পাবে।হতে পারে আবার নাও পেতে পারে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4612
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজের চাহিদামত পাত্রী পাওয়ার জন্য প্রথমত নিজেকে গোনাহ থেকে দূরে রাখতে হবে।এবং অত্যাবশ্যকীয় ভাবে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে।আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ কখনো কাউকে ফিরিয়ে দেননা।
وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ
তোমার প্রতিপালক বলেন- তোমরা আমাকে ডাকো, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। আরও তাঁর বাণীঃ যারা অহংকারবশতঃ আমার ’ইবাদাত করে না, নিশ্চিতই তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’’ (সূরা আল-মু’মিন ৪০/৬০)
(২)
যিনা ব্যভিচার প্রমাণিত হলে, নিশ্চিতভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তখন আর পিছপা করা যাবে না। যেহেতু মৃত্যুদণ্ড ই নিশ্চিত বিধান। তাই এই বিধান কার্যকর করার পূর্বে সকল প্রকার সন্দেহকে দূর করতে হবে। সকল প্রকার সন্দেহকে দূর করার জন্যই চারজন সাক্ষীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। চারজন সাক্ষী পাওয়া না গেলে যদিও মৃত্যুদণ্ডকে কার্যকর করা যাবে না। তথাপি সরকার তা'যির তথা বিভিন্ন শাস্তি কার্যকর করবে।