বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা যা আল্লাহ তা'আলার সিফাতি অর্থ ব্যতীত অন্য অর্থেও ব্যবহৃত হয়।সুতরাং অন্য অর্থ হিসেবে ঐ সমস্ত নামের ব্যবহার গায়রুল্লাহর জন্যও জায়েয হবে।
তবে বিষয়টা ব্যাখা সাপেক্ষ্য।
★যদি কুরআন-হাদীস ও উম্মাহর তা'আ'মূল(ব্যবহার) এবং উরফে আম(সমাজ ব্যবস্থায়) এ- ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা প্রমাণিত থাকে, তাহলে সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা নাম রাখা যাবে।এতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই।
যেমনঃ
عزيز، علي، كريم، رحيم، عظيم، رشيد، كبير، بديع، كفيل، هادي، واسع، حكيم ،
যেমনঃ আযীয, আলী, কারিম, রাহিম, আজীম, রাশিদ, কাবির, বাদি', কাফিল, হাদী, ওয়াসি', হাকীম, ইত্যাদি।এবং যে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়,বা মুসলমানদের রীতিনীতিতে প্রচলিত নয়,সে সমস্ত আসমায়ে হুসনা দ্বারা গায়রুল্লাহর নাম রাখা অনুচিত।অত্যাবশ্যকীয় পরিত্যাজ্য।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
473
আবদ আরবী শব্দ।যার অর্থ হল,গোলাম।উপরের সকল প্রকার আল্লাহর সিফাতি নাম সমূহের পূর্বে আবদ শব্দ যোগ করে কারো নাম রাখতে কোনো অসুবিধে নেই।যেমন, আব্দুল্লাহ,আব্দুর রহমান ইত্যাদি।
তবে ডাকার সময়ে অবশ্যই আবদ যোগে পূর্ণ শব্দ দ্বারাই ডাকতে হবে।আবদকে ছেড়ে দিয়ে ডাকা যাবে না।এবং শেষে রহমান যুক্ত করে যেমন সামিউর রহমান ডাকা যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সামি বা সামিউ নাম রাখা যায়েয হবে।তবে সামিউর রহমান নাম রাখাই উত্তম হবে।