আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)

আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে দেশে ও বিদেশে শরীয়াহর আইন প্রতিষ্ঠিত নেই। এখন ফ্রিল্যান্সিং/অনলাইনে একাউন্ট খুলতে গেলে কিংবা বিদেশে কোন ব্যবসা করতে গেলে চুক্তি করতে হয় এরূপ শর্তে যে, আমি উক্ত সার্ভিস/পণ্য/ব্যবসা সম্পর্কিত সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলব অথবা আমি উক্ত সার্ভিস/পণ্য ব্যবহার করে বেআইনি কাজ করব না। কিন্তু এগুলো তো কুফরি আইন। এগুলো মেনে চলার শর্তে কি চুক্তি করা যাবে? আর কোম্পানিগুলোও আসলে চাপে পড়েই এমন শর্ত দেয়। কারণ তাদের পণ্য ব্যবহার করে বেআইনি কাজ হলে তারা সমস্যায় পড়বে। কিন্তু আমি যদি তাদের এই শর্তে রাজি হই, আমি তো কুফরি আইনের আনুগত্য করার ওয়াদা তাদেরকে দিচ্ছি। এটা কি জায়েজ হবে? আর এই শর্ত দেয়না এমন কোম্পানি পাওয়াও মুশকিল যেহেতু শরিয়া নেই। এমতাবস্থায় কী করা উচিত? আমরা মুমিনরা কোন কোম্পানি খুললেও তো এমন শর্ত না দিলে বিপাকে পড়তে হতে পারে। একটু পরামর্শ দিলে ভাল হয় এ ব্যাপারে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
فَمَنِ اضۡطُرَّ غَیۡرَ بَاغٍ وَّ لَا عَادٍ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۱۵﴾ 

কিন্তু কেউ অবাধ্য বা সীমালংঘনকারী না হয়ে অনন্যোপায় হলে আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা নাহাল ১১৫)

 فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾ 

অতঃপর কেউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তবে নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা মায়েদা ০৩)

الضَّرُورَاتُ تُبِيحُ الْمَحْظُورَاتِ، ٧ 
 وَمِنْ ثَمَّ جَازَ أَكْلُ الْمَيْتَةِ عِنْدَ الْمَخْمَصَةِ، وَإِسَاغَةُ اللُّقْمَةِ بِالْخَمْرِ، وَالتَّلَفُّظُ بِكَلِمَةِ الْكُفْرِ لِلْإِكْرَاهِ 
 وَكَذَا إتْلَافُ الْمَالِ، وَأَخْذُ مَالِ الْمُمْتَنِعِ الْأَدَاءِ مِنْ الدَّيْنِ بِغَيْرِ إذْنِهِ وَدَفْعُ الصَّائِلِ، وَلَوْ أَدَّى إلَى قَتْلِهِ (غمز عيون البصائر شرح الأشباه والنظائر ج:١ ص:٢٧٥)
জরুরত অনেক অবৈধ ও হারাম জিনিষকে মুবাহ করে দেয়। যেমন, ক্ষুধায় মরণাপন্ন অবস্থায় পতিত ব্যক্তির জন্য মৃত জিনিষ বা মদ খাওয়াও জায়েয। অপারগ ও মজবুরি অবস্থায় কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করা জায়েয। মাল ধ্বংস করাও জায়েয। তাছাড়া কারো নিকট পাওনা থাকলে, সেই পরিমাণ মাল তার অনুমতি ব্যতিত তার কাছ থেকে নিয়ে আসাও জায়েয। সন্ত্রাসকে প্রতিহত করা জায়েয।এমনকি তাকে হত্যা করা ব্যতিত নিজেকে বাঁচানো সম্ভব না হলে, তখন তাকে হত্যা করাও জায়েয। (আল আশরাহ ওয়ান-নাযায়ির)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি তাদের এই শর্তে রাজি হোন,সেক্ষেত্রে এটা নাজায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
হুজুর, এক্ষেত্রে কিরকম অপারগতা থাকতে হবে? এই কাজটা না করলে আমি মারা যাব এরকম পরিস্থিতিতেই কি শুধু করতে পারব?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...