আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
378 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
অাসসালামু অালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১.ব্যাংক এ অাকাউন্ট খুলে সুদ গ্রহণ ব্যতীত টাকা রাখা জায়েজ অাছে কি?নাকি ওই টাকা যেকোনোভাবেই সুদি কারবারে লেগে যেতে পারে? শুধু মূল টাকা টা উঠিয়ে নিয়ে অাসলেও কি গুনাহগার হতে হবে?

২. এখন ঘরে ঘরে ব্যাংকে ডিপিএস করে টাকা রাখে।সেই টাকা দিয়ে যদি কেউ হালাল ব্যাবসায় বিনিয়োগ করে,তবে কি তার বাসার কোনো খাবার খাওয়া যাবে?অামার মামা প্রবাসে উপার্জিত অর্থ ডিপিএস করে রেখে জমিয়ে এখন হালাল দ্রব্যাদির ব্যাবসা করে। এক্ষেত্রে কি অামি তার দেওয়া খাবার,হাদিয়া এড়িয়ে চলবো??

(বি.দ্র.--বর্তমানে অর্থনেতিক অবস্থ যদি খুবই খারাপ হয়,তবেও কি পূর্বের  ডিপিএস এ জমানো টাকা ভোগ করা নিজের জন্য হালাল হবে?)

৩.অামার বাবা ও মায়ের হারাম উপার্জন। এখন অাব্বুর বেতন কমে যাওয়ায় একা স্ত্রী, ৩ সন্তান এর ভরণপোষণ এ সমস্যা হচ্ছে।এ অবস্থায় অাম্মু কি নিজের টাকা টা নিজের জন্য খরচ করতে পারবে?জায়েজ অাছে?

৪.অামার বাবার হারাম উপার্জন কি অামার স্বামীর জন্য হালাল হবে? জানি হালাল হবে না। তবে বিবিধ মাসায়ালা জানতে চাই।কোনো অবস্থায়ও কি গ্রহণ জায়েজ নেই?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
বর্তমান সময়ে বাসায় টাকা-পয়সা রাখা অনেকটা অনিরাপদ।অন্যদিকে সুদ হারাম,এবং সুদী কাজে সাহায্য করাও হারাম।
তাই বলা যায় যে,এসমস্ত ব্যাংকে সেভিংস একাউন্টে টাকা রাখা যাবে না।কেননা তখন ব্যাংক কর্তৃত আইনগতভাবে উক্ত টাকা সুদী কারবারে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদিও ব্যাংক চাহিবামাত্র গ্রাহককে উক্ত টাকা দিতে বাধ্য থাকে।
এজন্যই উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দেন যে,উক্ত ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একাউন্ট খুলে টাকা রাখতে হবে।
কেননা কারেন্ট একাউন্টের টাকা আইনগতভাবে ব্যাংক ব্যবহার করতে পারেনা।

যদি কোনো কারণে ঐ সব সুদী ব্যাংক সমূহে কারেন্ট একান্ট খুলা দুস্কর হয়ে যায়,তাহলে সুদ গ্রহণ না করার শর্তে তাতে সেভিংস একাউন্ট খুলে  টাকা রাখা যাবে।উলামায়ে কেরাম এ অনুমোদন দিয়েছেন।

সুদী ব্যাংকে একাউন্ট খুলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/753


(২)
ডিপি এস এর মূলধন তো হালাল,তবে এত্থেকে প্রাপ্ত যে ইন্টারেষ্ট রয়েছে,সেগুলো অবশ্যই হারাম।ডিপিএস এর লাভসহ টাকা দিয়ে যদি কেউ কোনো ব্যবস্যা খুলে,তাহলে   যেহেতু ডিপিএসের মুলধন বেশী হবে সাধারণত,তাই এ ব্যবসাকে হারাম ব্যবসা বলা যাবে না। হ্যা ঐ যৎসামন্য ডিপিএস লাভ মালিকের জন্য হারাম বলেই সাব্যস্ত হবে।বরং এগুলোকে সদকাহ করে দিতে হবে।

(৩)
আপনার আম্মুর ভরণপোষণের দায়িত্ব আপনার বাবার।যদি কখনো বাবা অপারগ হয়ে যান,তাহলে  স্ত্রী নিজেই নিজের ভরণপোষণেরর দায়িত্ব নেন, তাহলে তখন রুখসব থাকবে-

(৪)
আপনার পিতার হারাম উপার্জনের মালিক কেউ হবে না।বরং এ মালকে সদকাহ করে দিতে  হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...