আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (43 points)

আসসালামু আলাইকুম।

  1. ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়ার মধ্যে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
  2. ফরযে কিফায়া আদায়ের জন্য কি ফরযে আইন ছেড়ে দেওয়া যাবে?
  3. ফরযে কিফায়া আদায় করতে গিয়ে যদি ফরযে আইন যথাযথভাবে আদায় করা না যায় এমতাবস্থায় কি ফরযে কিফায়া আদায়ের পেছনে লেগে থাকা জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (686,400 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ফরযে আইন ও ফরযে কিফায়ার মধ্যে ফরজে আইন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নোক্ত হাদীস গুলোতে মাতা পিতার খেদমত যাহা ফরজে আইন,সেটিকে জিহাদ (যাহা সেক্ষেত্রে ফরজে কিফায়াহ ছিলো) এর উপর অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن عبد الله بن عمرو رضي الله عنهما قال: أقبَلَ رجل إلى نبي الله صلى الله عليه وسلم فقال: أُبَايِعُكَ على الهجرة والجهاد أَبْتَغِي الأجر من الله تعالى قال: «فَهَل لَكَ من وَالِدَيك أحد حيٌّ؟» قال: نعم، بل كلاهما، قال: «فتبتغي الأجر من الله تعالى؟» قال: نعم، قال: «فَارْجِع إلى وَالِدَيك، فَأَحْسِن صُحْبَتَهُمَا». وفي رواية لهما: جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فاستأذنه في الجهاد، فقال: «أَحَيٌّ والداك؟»، قال: نعم، قال: «فَفِيهِمَا فجاهد».

আবদুল্লাহ ইবন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি আল্লাহর নবী -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি হিজরত ও জিহাদের ওপর আপনার হাতে বাই‘আত করলাম, যার দ্বারা আমি মহান আল্লাহর কাছে সাওয়াবের আশা করি। তিনি বললেন, ‘তোমার পিতা-মাতা কেউ জীবিত আছেন কি’? লোকটি বলল, হ্যাঁ, বরং উভয়েই জীবিত। বলল, তুমি আল্লাহর কাছ থেকে সাওয়াব পেতে চাও? বলল, হ্যাঁ, তাহলে তুমি তোমার মাতা-পিতার নিকট ফিরে যাও এবং তাদের সাথে উত্তম সাহচর্য অবলম্বন কর। বুখারী ও মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এসেছে, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তবে তুমি তাঁদের খেদমতে জিহাদ কর’।  
সহীহ - মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।


عَنْ عَبْدِ اللّه بن مَسْعُودٍ رضي اللّه عنه قال: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ : أَيُّ الْأَعْمَالِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ ؟ قَالَ : الصَّلَاةُ عَلَى وَقْتِهَا قُلْتُ : ثُمَّ أَيٌّ ؟ قَالَ : ثُمَّ بِرُّ الْوَالِدَيْنِ قُلْتُ : ثُمَّ أَيٌّ ؟ قَالَ : ثُمَّ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ

হযরত আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ–কে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন, যথাসময়ে নামাজ আদায় করা । তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, নামাজের পর কোন আমলটি তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়? উত্তর দিলেন, মাতা পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা । আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? প্রতিউত্তরে নবীজী ﷺ বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। (বুখারী শরীফ)

(০২)
ফরযে কিফায়া আদায়ের জন্য ফরযে আইন ছেড়ে দেওয়া যাবেনা।

(০৩)
এমতাবস্থায় ফরজে আন যথাযথ ভাবে আদায় করে তারপর ফরজে কিফায়াহ আদায় করতে হবে।

নতুবা ফরজে আইন আদায় না করার গুনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...