আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

১) আমি হানাফি মাযহাব অনুসরণ করি, নিজের হায়েয চলাকালীন কাউকে কুরআন পড়ানো যাবে? (নুরানী কায়দা অথবা নাজেরা।

২) হায়েযের সময় হিফযকৃত অংশ ভুলে যাওয়ার উপক্রম হলে করণীয় কি?

৩) অনলাইনে হিফয করলে কি কোনো সমস্যা হতে পারে? (অফলাইনে পড়ার সুযোগ নেই বলে)

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

 ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/88237/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।

হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম। তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   (কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131

অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)

ولا بأس لحائض وجنب بقراء ۃ أدعیۃ ومسہا وحملہا وذکر اللّٰہ عز وجل وتسبیح۔ (درمختار ۱؍۲۹۳ کراچی، ۱؍۴۸۸ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۱؍۴۸۱ زکریا)

হায়েজাহ মহিলার জন্য কুরআনের দোয়ার আয়াত তেলাওয়াত করা, সেটা স্পর্শ করা, উঠানো, আল্লাহর যিকির তাসবিহ জপা জায়েজ। এতে কোনো সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/6062/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. মেয়েদের হাফেজ অবস্থায় কোরআন শরীফ পড়া বা পড়ানো যাবে না। এমতাবস্থায় তাদের নামাজ মাফ, নামাজ পড়লে গুনাহ হবে। এমনই কোরআন না পড়ার হুকুম। পড়লে গুনাহ হবে। ছোট্ট তসবীহ, দোয়া দুরুদ পড়া যাবে। অনেক সময় নামাজের সময় চলাকালে নিরবে বসে তাসবীহ, জিকির করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে নামাজের অভ্যাস ছুটে না যায়। অবশ্য এটি জরুরী নয়।

সুতরাং ঋতুস্রাব অবস্থায় মহিলাদের জন্য কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করা, শিক্ষা দেওয়া ও স্পর্শ করা কোনোটিই জায়েয নয়। তাই যে সকল মহিলা কুরআন মজীদ শেখা-শেখানোর সাথে সম্পৃক্ত তারা অপবিত্রতার সময় তা থেকে বিরত থাকবে। প্রয়োজনে অন্য মহিলা দ্বারা কাজ সমাধা করে নিবে। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে তারা কেবল শিার্থীদের পড়া শুনতে পারবে এবং প্রয়োজনের সময় দু-এক শব্দ বলে দিতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে পূর্ণ আয়াত একত্রে তিলাওয়াত করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

২. হিফজকৃত অংশটুকু রেকর্ডিং তেলাওয়াত শুনতে পারেন। কিন্তু জবানে উচ্চারণ করে পূর্ণ আয়াত একত্রে পড়া যাবে না।

৩. জ্বী এতে কোন সমস্যা নেই। তবে শতভাগ পর্দা মেইনটেন করে ফেতনা থেকে দূরে থাকার শর্তে উক্ত কোর্স করা জায়েয হবে।  অন্যথায় জায়েয হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...