আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in সালাত(Prayer) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১. আমি একদিন ফজরের নামাজের জামআতে ইমামতি করছিলাম। প্রথম রাকাআতে সূরা আলা পড়েছিলাম।এর ৮নং আয়াতে লিলয়ুসরা তে সিন এর জায়গায় ছোয়াদ উচ্চারণ করে ফেলেছি।আর ১৮নং আয়াতে সুহুফিল উলা এর জায়গায় সুহুফি উলা পড়ে ফেলেছিলাম, লাম বাদ পড়ে গিয়েছে।অনেক দিন পরে বুঝতে পারি ভুল হচ্ছে। এখন কি এই নামাজগুলো আবার দোহরাতে হবে।এই জামাতে মুক্তাদি ৩ জন ছিল তাদেরও কি দোহরানো লাগবে।

২.গতকাল মাগরিবের ফরজ নামাজে সূরা দূহা ৫ নং আয়াতে ইউতিকা অংশে ত্ব এর জায়গায় তা উচ্চারণ করে ফেলেছি এই নামাজও কি দোহরানো লাগবে।

৩. নামাজে দাড়ানোর আগে অনেক সময় মনে হয় মুখে খাদ্যকণা বা মেসওয়াকের আশ বা ভাঙা কণা বা  এ জাতীয় কিছু আছে।তখন গিলার চেষ্টা করি। দেখা যায় এতে অনেক সময় ওয়াসওয়াসা তৈরি হয়।অযথা নামাজে দাড়ানোর আগে সময় ক্ষেপন হয়।এক্ষেত্রে কি এসকল কণা ছোলার পরিমাণ না হলে নামাজ শুরু করে দেওয়া যাবে? পরে নামাজের মধ্যে গিলে ফেলা যাবে?

৪.অনেক সময় প্রসাব করার অনেক পরে অথবা প্রসাবের অনেক চাপ আসলে মনে হয় প্রসাব বাহিরে বের হয়ে ঝরে পড়ছে।এসময় কি টিস্যু দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে? নাকি লিংগের মাথায় প্রসাবের আলামত না দেখলেই চলবে? লিংগের মাথায় নেই কিন্তু টিস্যু ব্যবহার করলে সামান্য টিস্যুতে আসলে কি কাপড় ও শরীরের নিচের অংশ পুরোটাই ধূতে হবে?
একই ভাবে কখনো কখনো উত্তেজনা আসলে লিংগ উত্থিত হয়ে মজি আসলে কি টিস্যু ব্যবহার করে দেখতে হবে? নাকি বাহিরে কোনো আলামত না থাকলেই হবে? বাহিরে নাই কিন্তু  টিস্যু ব্যবহার করে দেখা গেলে কি কাপড় ও শরীরের নিচের অংশ পুরোটাই ধূতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4350


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূরা আলা ৮নং আয়াতে লিলয়ুসরাতে সিন এর জায়গায় ছোয়াদ উচ্চারণ করে ফেলেলে। এবং  ১৮নং আয়াতে সুহুফিল উলা এর জায়গায় সুহুফি উলা পড়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না। কেননা অর্থে কোনো সমস্যা হয়নি।

(২) গতকাল মাগরিবের ফরজ নামাজে সূরা দূহা ৫ নং আয়াতে ইউতিকা অংশে ত্ব এর জায়গায় তা উচ্চারণ করে ফেলার দরুণ নামায ফাসিদ হবে না। কেননা অর্থে কোনো সমস্যা হয়নি। 

(৩) নামাজে মুখে খাদ্যকণা বা মেসওয়াকের আশ বা ভাঙা কণা বা এ জাতীয় কিছু থাকলেও নামায ফাসিদ হবে না। বরং ছানাবোট সমপরিমাণ কোনো জিনিষ নামাযে খেয়ে নিলেই কেবল নামায ফাসিদ হয়ে থাকে। সুতরাং এই ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করার মনমানষিকতা তৈরী করুন।

(৪) লিংগের মাথায় প্রসাবের বা মযির আলামত না দেখলেই চলবে। অযথা টিস্যু ইত্যাদি দিয়ে চেক করে ওয়াসওয়াসার দরজা খুলে দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...