ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4350
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূরা আলা ৮নং আয়াতে লিলয়ুসরাতে সিন এর জায়গায় ছোয়াদ উচ্চারণ করে ফেলেলে। এবং ১৮নং আয়াতে সুহুফিল উলা এর জায়গায় সুহুফি উলা পড়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না। কেননা অর্থে কোনো সমস্যা হয়নি।
(২) গতকাল মাগরিবের ফরজ নামাজে সূরা দূহা ৫ নং আয়াতে ইউতিকা অংশে ত্ব এর জায়গায় তা উচ্চারণ করে ফেলার দরুণ নামায ফাসিদ হবে না। কেননা অর্থে কোনো সমস্যা হয়নি।
(৩) নামাজে মুখে খাদ্যকণা বা মেসওয়াকের আশ বা ভাঙা কণা বা এ জাতীয় কিছু থাকলেও নামায ফাসিদ হবে না। বরং ছানাবোট সমপরিমাণ কোনো জিনিষ নামাযে খেয়ে নিলেই কেবল নামায ফাসিদ হয়ে থাকে। সুতরাং এই ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করার মনমানষিকতা তৈরী করুন।
(৪) লিংগের মাথায় প্রসাবের বা মযির আলামত না দেখলেই চলবে। অযথা টিস্যু ইত্যাদি দিয়ে চেক করে ওয়াসওয়াসার দরজা খুলে দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।