আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
পন্ডস সুপার লাইট জেল নামক একটি প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করেছিলাম,গুগলে সার্চ করলাম লিখা যে এই প্রসাধনী টি হালাল নয়, এখানে শুকরের চর্বি নাকি অ্যালকোহল অথবা দুইটি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা জানিনা অবশ্য উপাদান তালিকা আছে, এখানে দেওয়া যাচ্ছে না গুগলে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে।

১. আমি এই জেলটি মুখে এবং পেটে ব্যবহার করেছিলাম, এবং পরবর্তীতে মুখ ধুয়েছিলাম মুখের পানি শরীরে এবং কাপড়ে লেগেছিল, মুখ থেকে টপ টপ করে পানি পড়েছিল, শরীর এবং কাপড় কি নাপাক হবে? কারণ এখানে যদি হারাম উপাদান ব্যবহার থাকে তাহলে হারাম উপাদানের সাথে তো অন্যান্য উপাদান ও আছে, আর নাপাক হওয়ার ক্ষেত্রে তো একটা মতামত হচ্ছে এক দিরহাম পরিমাণ লাগতে হবে।

২. আমার একটা দাঁত থেকে প্রায়ই রক্ত পরে, তাই আমি বেসিনে কুলি করে পানি বেসিনে ফেলছিলাম এভাবে কয়েকবার কুলি করেছি কুলি করার সময় পানি আমার কাপড়ে এবং ওড়নায় লেগেছে, রক্তের কোন চিহ্ন কাপড়ে নেই,কাপড় কি নাপাক হবে?

৩.১ ওয়াসওয়াসা এর জন্য কেউ যদি নিজেকে কোন কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য বলে যে সে যদি এটা করে তাহলে সে মুসলিম না,বা এসব যারা করে তারা মুনাফিক,তাহলে সে কাজ যদি সে করে ফেলে তাহলে কি সে কাফের বা মুনাফিক হয়ে যাবে?

৩.২ এক্ষেত্রে কি তাকে ফরজ গোসল করে শাহাদা পাঠ করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (579,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দৈনন্দিন ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস যেমন টুঠপেস্ট, বেনজিল, বডিলোশন,বা ফ্যাস ক্রিম,ফেইস পাওডার,লিপস্টিক,শেম্পু,ময়েশ্চারাইজার  ইত্যাদিতে  এলকোহল বা বিভিন্ন হারাম উপাদান রয়েছে। এগুলোর ব্যবহার কি হারাম হবে? এ্যালকোহল হারাম হওয়া যেহেতু নিশ্চিত নয়, তাই এটার ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/5553


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)শুকরের চর্বি বা অ্যালকোহল সম্পর্কে যদি নিশ্চিত কোনো সংবাদ পাওয়া যায়, তাহলে সেটা হারাম।কাপড়ে বা শরীরে লাগলে তখন নামায হবে না।


(২) দাতে রক্ত আসার পর বেসিনে কুলি করার সময় কাপড়ে বা ওড়নায় কুলির পানি লেগে থাকলে কাপড় বা উড়না নাপাক হবে না। 

(৩-১) ওয়াসওয়াসা এর জন্য কেউ যদি নিজেকে কোন কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য বলে যে, সে যদি এটা করে তাহলে সে মুসলিম না,বা এসব যারা করে তারা মুনাফিক। পরবর্তীতে যদি সে ঐ কাজ করে ফেলে, তাহলে এজন্য সে কাফের বা মুনাফিক হবে না।

(৩-২) এক্ষেত্রে তাকে ফরজ গোসল করে শাহাদা পাঠ করতে হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...