আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
706 views
in পবিত্রতা (Purity) by (101 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম,

১)বেহেশতী জেওর এর এই পেজের এখানে বলা আছে যে ১০০ বর্গহাতের ছোট কূপে নাজাসাত পড়লে কূপ নাপাক হয়ে যায় কিন্তু সবটুকু পানি ফেলে দিলেই কূপ পাক হয়ে যায়,এক্ষেত্রে কূপের দেয়াল ধোয়ার প্রয়োজন নেই।আবার যে বালতি নাপাক পানি তুলতে ব্যবহার হয় তাও নাপাক থাকে না যদি সমস্ত পানি ফেলে দেয়া হয়।

আমার প্রশ্ন হলো যে, বালতিতে তিনবার নাপাক কাপড় ধোয়ার পর পানি সবটুকু ফেলে দিলেই তো বালতি পাক হয়ে যায়।আলাদাভাবে তো আর বালতি ধোয়ার দরকার নেই তাই তো?

https://drive.google.com/file/d/1jUJsfYeri_v0hZw3w_jzN_lTzRPlyAEt/view?usp=drivesdk

২)নাপাক কাপড় তিনবার ধৌত করে প্রত্যেকবার নিংড়ালে কাপড় পবিত্র হয়,তাহলে তৃতীয়বার যে পানি ব্যবহার করা হয় তা কি পাক ? কারন সে পানি থেকে উঠানোর পর তো কাপড় কে পাক বিবেচনা করছি।কাপড় তৃতীয়বার ধৌত করার পর যে পানি পড়ে কাপড় হতে তা কি নাপাক ?

৩)মশা বা মাছির রক্ত তো পাক। তো এই রক্ত কি প্রকৃতিগতভাবে পাক? অর্থাৎ এই রক্ত যদি পানির সংস্পর্শে এসে এক দিরহামের বেশিও হয় তাহলেও কি এই রক্ত পাক?

৪)আমি জানতে পেরেছি যে এক সা' পানি দিয়ে ফরজ গোসল করা সুন্নাত। কিন্তু এক সা' পানি তো ২.৫ লিটার আনুমানিক ।অনেক চেষ্টা করেও এত অল্প পরিমান পানি দিয়ে গোসল করতে পারিনি।এটার ফিকহি দৃষ্টিকোণ হতে সমাধান আছে কি?

৫)আমাদের বাসার ট্যাঙ্কিতে পানি ভরার জন্য মোটর ছাড়া হলে ট্যাঙ্কি ভরে পানি পড়ে অনেক সময়।তো পানি পড়ার সময় তা বাইরের দিকে থাকা গ্যারেজের টিনের চালের উপর পড়ে আর মোটরের সুইচ বন্ধ করতে গেলে টিনের চালে পড়তে থাকা পানি গায়ে এসে ছিটা লাগে ।এখন টিনের চালে কোনো প্রানীর নাপাকি থাকে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।আবার মোটর বন্ধ করতে তিনতলা থেকে নামতে হয় ফলে কিছু পানি আগেই পড়ে ।তো নাপাকি থাকলেও তা ধুয়ে যায় কি না এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে।তাহলে কি ছিটে আসা পানিকে পাক ধরে নিব??
অনেকগুলো প্রশ্ন করার জন্য দু:খিত।জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (696,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

(০১)
হ্যাঁ বালতি পাক হয়ে যাবে।
নতুন করে ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

(০২)
সেই পানি পাক নয়।

(০৩)
হ্যাঁ, সেক্ষেত্রেও পাক থাকবে।   

(০৪)
এটি কোনো জরুরি নিয়ম নয়।
আপনি ইসরাফ তথা অতিরিক্ত পানি খরচ না করে গোসল করবেন।

★গোসলের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ থেকে এক ছা' (যার পরিমান হলো প্রায় সাড়ে তিন লিটার)  পরিমান পানি ব্যবহার করা ছহিহ হাদীস থেকে প্রমানিত আছে।
এটা মাসনুন গোসলের সর্বনিম্ন পরিমান।
(কেননা কিছু রেওয়ায়েত দ্বারা গোসলের সময় রাসুল সাঃ এর থেকে তিন ছা' আনুমানিক সাড়ে দশ লিটার মতো পানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।) 
পানি ব্যবহার এর এই সীমা এমন জরূরী নয় যে এই চেয়ে বেশি পানি ব্যবহার কে সুন্নাতের খেলাফ বলা হবে।
 তাই যদি কোনো ব্যাক্তি গোসলের ভিতর এর চেয়ে বেশি পানি ব্যবহার করে প্রয়োজনের খাতিরে বা ইতমিনানে কলব (অন্তর তুষ্টি) এর জন্য,তাহলে তাকে সুন্নাত তরক কারী (সুন্নত ছেড়ে দিয়েছে) বলা যাবেনা।
  হ্যাঁ যদি প্রয়োজন ব্যাতিত বেশি পানি ব্যবহার করে,সেটাকে সুন্নাতের খেলাফ বলা হবে।
 (কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/৫৪. ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ৮/ ১২৩. ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ  ২/১৬ মাকতাবায়ে রহিমিয়্যাহ দেওবন্দ) 

★রাসুল (সা.) এক ‘মুদ্দ’ (প্রায় ১ লিটার বা ৭৯৬ মিলি সমপরিমাণ) পানি দিয়ে অজু সারতেন বলে হাদিসে রয়েছে। 

সাধারণত আমাদের দেশে গোসল  করতে গিয়ে অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি পানি অপচয় করছেন। অথচ জীবনের সবক্ষেত্রে অপচয় রোধ করে মিতব্যয়ী হওয়ার তাগিদ রয়েছে কোরআনে কারিমে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা খাও, পান করো; কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা আরাফ : ৩১)।

হাদীস শরীফে এসেছে   
عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم کان یغتسل من إنائٍ ہو الفَرَقُ من الجنابۃ … قال قتیبۃ، قال سفیان: والفرق ثلاثۃ آصع۔ (صحیح مسلم ۱؍۱۴۸)
যার সারমর্ম হলো রাসুল সাঃ জানাবত থেকে পবিত্রতার জন্য যেই পাত্র থেকে গোসল করতেন, সেটা তিন ছা'
বিস্তারিত জানুনঃ  

(০৫)
যদি সেই পানিতে নাপাকির চিন্হ বা গন্ধ না পান,তাহলে সেটি নাপাক নয়।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 127 views
...