আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
117 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
আমি আমার হাজব্যান্ড এবং আমার ভাগ্নী (ননাসের মেয়ে) আমরা একসাথে থাকি।আমার ভাগ্নীর বয়স ১১ বছর কিন্তু বয়স হিসেবে মাশা-আল্লাহ ওর গ্রোথ ভালো এবং যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান।ও আমাদের তুলনায় অনেক কমই পরিশ্রম করে এবং মাশা-আল্লাহ শারিরীক অবস্থা ভালো।

অপরদিকে আমার এবং আমার হাজব্যান্ড এর শারীরিক অবস্থা একটু দুর্বল এবং যেহেতু আমি ঘরের রান্নাবান্না এবং বেশিরভাগ কাজ করি/পরিশ্রম করি এবং আমার হাজব্যান্ড বাইরে পরিশ্রম করে এবং ঘরেও মাঝে মাঝে আমাকে সাহায্য করে সে হিসেবে আমাদের শরীরের এনার্জি বেশি খরচ হওয়াতে প্রায়ই সময় আমরা কিছুটা অসুস্থ এবং দুর্বল থাকি।এমনিতেও আমার বিভিন্ন অসুস্থতা আছে,আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হা'ল।

ক। কিন্তু ঘরে কোনো খাবার (মাছ,মুরগী কিংবা বিভিন্ন ফল, যেমন: আম ১২ টার মধ্যে একজনে ৪ টা করে ৩ জনে ১২ টা/সমানভাগে খাই) এক্ষেত্রে কি তিনজনের মধ্যে ইনসাফ রক্ষা হবে?
খ। আমরা বেশি পরিশ্রম করার কারণে আমাদের যেহেতু এনার্জি বেশি খরচ হয়,শরীরে যথেষ্ট পুষ্টির ঘাটতি থাকে এবং প্রায়ই অসুস্থ এবং দুর্বল থাকি,সেক্ষেত্রে যদি আমরা ওর থেকে বেশি খাই (যেমন: আম ১২ টায় আমি ৫ টা আমার হাজব্যান্ড ৫ টা/আমরা দুজন মিলে ৯/১০ টা খাই এবং ওরে ২/৩ টা দিই,এতে কি ওর উপর জুলুম করা হবে?      (উল্লেখ্য ওর বাবা প্রতি মাসে মাঝে মাঝে সাংসারিক খরচের জন্য টাকা দেয়)

গ। আর যদি আমি এবং আমার হাজব্যান্ড এরকম খাবার (যেগুলো গোটা হিসেব করা যায়) তিনজনের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করি,তাহলে কি আমার অথবা আমার হাজব্যান্ডের উপর জুলুম করা হবে?      (যেহেতু আমরা বেশি পরিশ্রম করার কারণে ওর তুলনায় আমাদের শরীর অসুস্থ এবং দুর্বল থাকে, এবং শরীরে যথেষ্ট পুষ্টির ঘাটতি থাকে)

জাযাকাল্লাহু খইরন!

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এখানে মূল বিষয় হলো আপনার ননাসের মেয়ে আপনাদের সাথে থাকার দরুন যেহেতু তার বাবা আপনার প্রতি মাসে টাকা দেয়,সুতরাং সেই টাকা যেনো তার পিছনে পূর্ণ ভাবে ব্যবহার হয়।

তার বাবা যেই পরিমাণ টাকা দেয়,সেই টাকা যেনো আপনাদের পিছনে ব্যায় না হয়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এখানে ইনসাফ কায়েম করা আবশ্যক নয়।

তার বাবার দেয়া টাকা তার পিছনে যথাযথ ব্যবহার হলেই হলো।

(০২)
তার বাবার দেয়া টাকা তার পিছনে যথাযথ ব্যবহার হলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার উপর জুলুম হবেনা।

(০৩)
না,জুলুম করা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (9 points)
reshown by
তার বাবা টাকাগুলো সন্তুষ্টচিত্তে আমাদের সবার খরচের জন্যই দেয়।
এক্ষেত্রে কিভাবে ইনসাফ রক্ষা করবো?
by (566,160 points)
এক্ষেত্রে আম বা অন্য কোনো কিছু তাকে নির্দিষ্ট করে না দেয়াই ঝালেমা মুক্ত বলে মনে করছি।

সকলে একসাথে আম খাবেন,তাতে কম বেশি কেউ খেলে তাতে সমস্যা নেই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...