আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমার বাবা একজন উগ্র মেজাজের মানুষ। তার সাথে ভালো করে কথা বললেও তিনি বিরক্ত হন। তিনি কিছু কুফরী, শিরকী বিষয় মানেন যা আমরা মানতে চাইনা তাই আমরা তার কাছে ভালো না। তিনি আমাদের যথাযথ হক আদায় করেন না। আমরা তার জন্য কিছু করলেও শুকরিয়া নেই উল্টো দোষ ধরতে থাকেন। উনি আমার আম্মুর সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন, যার কারণে উনার জন্য মন থেকে কোনো দুআ করতে পারিনা। আমাদের প্রতি তার এত খারাপ ব্যবহারের জন্য উল্টো ঘৃণা কাজ করে।

এখন আমার ভয় হচ্ছে হক নিয়ে। তিনি কেমন মানুষ কিছুটা বিবরণ দিলাম মাত্র। এখন আমি তার সাথে দরকার ছাড়া কথা বলিনা, যতটুক সম্ভব তার কাজ দুর থেকে করে দিয়ে সামনে থেকে সরে যাই। কথাও বলতে ইচ্ছা করেনা।
প্রশ্ন হচ্ছে আমার এমন করাতে কি আমার গুনাহ হবে? এর জন্য কি আল্লহ আমাকে পাকড়াও করবেন? আমি খারাপ আচরণ করিনা। শুধু তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/9394/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা নাজায়েজ,এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোরভাষা ব্যবহার করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

আরো জানুনঃ 

দারুল উলুম  দেওবন্দ এর 178050 নং ফতোয়াতে এসেছে যে কোনো মুসলমানের সাথে হিংসা ইত্যাদির কারনে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ নেই। 
তবে সে যদি দীনের লাইন থেকে দূরে সরে যায়,মদ খায়,জুয়া খেলে,যেনা করে,সুদ খায়।
বুঝানোর পরেও বুঝেনা,ইসলাম মানেনা।
,
তাহলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ আছে। 
তবে  স্থায়ীভাবে নয়,সাময়িক ভাবে। 
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৮/২৭০)
,
''( قوله باب ما يجوز من الهجران لمن عصى )
 أراد بهذه الترجمة بيان الهجران الجائز لأن عموم النهي مخصوص بمن لم يكن لهجره سبب مشروع فتبين هنا السبب المسوغ للهجر وهو لمن صدرت منه معصية فيسوغ لمن اطلع عليها منه هجره عليها ليكف عنها''۔(فتح الباری،10/497،ط:دارالمعرفۃ بیروت) 

সারমর্মঃ শরীয়ত সম্মত কারন পাওয়া গেলে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েজ আছে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার এমন করাতে আপনার গুনাহ হবেনা। এর জন্য আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা, ইনশাআল্লাহ। 

হ্যাঁ, আপনি খারাপ আচরণ করবেননা। শুধু তাকে এভাবে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...