বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ليس للقضاء وقت معين بل جميع أوقات العمر وقت له
কা'যা নামায পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওয়াক্ত নেই।বরং জীবনের সকল মূহুর্তই কা'যা নামাযের ওয়াক্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২১)বিস্তারিত জানুন-
1604
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি ফজরের পর যেকোনো উমরী কা'যার নামায পড়তে পারবেন।তবে দুখুলুল মসজিদ পড়তে পারবেন না।
(২)
আসরের পর যেকোনো উমরি কা'যার নামায আদায় করতে পারবেন।
(৩)
3923নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ইমাম সাহেবের রুকুন পরিবর্তনের পূর্বে মুক্তাদি যদি রুকুনকে পরিবর্তন করে ফেলে,এক্ষেত্রে নামায হবে কি না? প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,এক্ষেত্রে ব্যখ্যা হল,অগ্রগামী মুক্তাদিকে যদি ইমাম সাহেব ঐ রুকুনে গিয়ে পেয়ে যান,তাহলে মুক্তাদির নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।কিন্ত যদি ইমাম সাহেবর উক্ত রুকুনে যাওয়ার পূর্বেই মুক্তাদি সেই রুকুনকে সমাপ্ত করে ফেলেন,তাহলে মুক্তাদির ইকতেদা বিশুদ্ধ থাকবে না, তথা নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ, লিখেন,
(وَلَوْ رَكَعَ) قَبْلَ الْإِمَامِ (فَلَحِقَهُ إمَامُهُ فِيهِ صَحَّ) رُكُوعُهُ، وَكُرِهَ تَحْرِيمًا إنْ قَرَأَ الْإِمَامُ قَدْرَ الْفَرْضِ (وَإِلَّا لَا) يُجْزِيهِ؛
যদি কেউ ইমাম সাহেবের পূর্বে রুকুতে চলে যায়, অতঃপর ইমাম সাহেব সেই ব্যক্তিকে রুকুতে গিয়ে পেয়ে যান,তাহলে মুক্তাদির ইক্তেদা বিশুদ্ধ হবে যদি ইমাম সাহেব ফরয পরিমাণ ক্বেরাতকে পড়ে নিয়ে থাকেন।হ্যা অবশ্যই এমনটা করা মাকরুহে তাহরীমি হবে।কিন্তু যদি ইমাম সাহেব কর্তৃক ফরয ক্বেরাত পড়ার মুক্তাদি রু'কুতে চলে যান,তাহলে মুক্তাদির ইক্তেদা বিশুদ্ধ থাকবে না।সুতরাং নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৬১)
আরো জানুন-(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৬৩৯)
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী দুনু দিকে সালাম ফিরানো ওয়াজিব।(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/১৮৮)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যখন ইমাম সাহেবের পূর্বে সালাম ফিরিয়ে নিয়েছিলেন,তাই আপনার উচিৎ ছিল,সেই অবস্থাতেই থাকা,যাতেকরে ইমাম সাহেব গিয়ে আপনাকে পেয়ে যান,তবে যেহেতু আপনি ভিন্ন কোনো রুকুন তথা দ্বিতীয় সালাম শুরু করেননি,তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।আর আদায় করতে হবে না।