জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো অযুতে সেই সমস্ত অঙ্গ ধোয়া ফরজ,যদি সেগুলোর ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ قَتَادَةَ بْنَ دِعَامَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم وَقَدْ تَوَضَّأَ وَتَرَكَ عَلَى قَدَمَيْهِ مِثْلَ مَوْضِعِ الظُّفْرِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " ارْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ " .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি অযু করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হল। কিন্তু (অযুতে) তার পায়ে নখ পরিমাণ জায়গা শুকনা ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ’ফিরে যাও এবং উত্তমরূপে আবার অযু করে এসো।
(আবু দাউদ ১৭৩)
حَدَّثَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، عَنْ بَحِيرٍ، - هُوَ ابْنُ سَعْدٍ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ بَعْضِ، أَصْحَابِ النَّبِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي وَفِي ظَهْرِ قَدَمِهِ لُمْعَةٌ قَدْرُ الدِّرْهَمِ لَمْ يُصِبْهَا الْمَاءُ فَأَمَرَهُ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم أَنْ يُعِيدَ الْوُضُوءَ وَالصَّلَاةَ .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন, এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে, অথচ তার পায়ের উপরিভাগে এক দিরহাম পরিমাণ স্থান শুকনো, (অযুর সময়) তাতে পানি পৌঁছেনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুনরায় অযু করে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন।
(আবু দাউদ ১৭৫)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ময়লা যদি সেই স্থানে পানি পৌছানো হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী হয়,সেক্ষেত্রে আপনার নামাজ হয়নি।
পুনরায় অযু করে উক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।