আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহ।
ফেসবুক এ গল্প পড়া
আমি গল্প গুলো পড়ে অনেক অনুতপ্ত হই। নিজেকে অনেক পাপি মনে হয়। আল্লাহ কাছে মাফ চেয়ে আল্লাহর কাছে ওয়াদা করি আর পড়ব না। আল্লাহ কে বলছি আল্লাহ আমি ওয়াদা করলাম আপনার কাছে আর পড়র না  ফেসবুক এ আজেবাজে গল্প

আমাকে  মাফ করে দেন। অনেক  দিন বিরত  থাকি। পরে আবার পড়ে ফেলি। আবার মাফ চেয়ে ওয়াদা করি। কিন্তু তার মাঝে আবার গল্প পড়ে ফেলি।  এখন আমার কি কবিরা গুনাহ হয়ে গেছে।আমি  অনেক অনুতপ্ত।

/আর কি কখনও  কোনো গল্প পড়তে পারব না বইয়ে যেমন :কেয়ারিং ওয়াইফ,সারেন্ডারড ওয়াইফ এ জাতীয় বই গুলো ।আমি তো শুধু ফেসবুকে আজেবাজে গল্প না পড়ার ওয়াদা করেছি।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

https://ifatwa.info/107543/ নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যেইসলাম মানুষকে যেসব উন্নত চরিত্রের শিক্ষা দেয়তন্মধ্যে অন্যতম গুণ বা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অঙ্গীকারপ্রতিশ্রুতি ও চুক্তির বাস্তবায়ন। যেকোনো ভালো কাজের অঙ্গীকার পূরণ করা ওয়াজিব।

 পবিত্র কোরআনে ওয়াদার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ হয়েছে,

يا ايها الذين امنوا اوفوا بالعقود

'হে ইমানদারগণ! তোমরা অঙ্গীকারগুলো পূর্ণ করবে।' (সুরা আল-মায়িদাআয়াত : ১)

الا الذين عاهدتم من المشركين.....

তবে যেসব মুশরিকের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছপরে তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে কোনো ত্রুটি করেনিআর তারা তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনিতাদের সেই চুক্তি তোমরা মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ করবে। অবশ্যই আল্লাহ দায়িত্বনিষ্ঠদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবাআয়াত ৪)

ওয়াদা (চুক্তি) পালনকারীকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন। যেমন তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার ওয়াদা পূর্ণ করে এবং তাকওয়া অবলম্বন করে তার জানা উচিত যেআল্লাহ তায়ালা তাকওয়াবানদের ভালোবাসেন।’ (সূরা আলে ইমরান : ৭৬)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার সেই বোন যেহেতু ওয়াদা করেছেন যে ফেসবুকে কোন গল্পই তিনি আর পড়বেননা। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে। এক্ষেত্রে তওবা করে নিতে হবে।

এখন তিনি নিম্নোক্ত শর্তের ভিত্তিতে ফেসবুক বা অন্যত্র হতে গল্পের বই পড়তে পারবেনঃ-

কল্পকাহিনী,গল্পের বইউপন্যাস এর বই পড়া জায়েজতবে শর্ত হচ্ছে দুটি।

প্রথমতঅশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে পারবে না। কারণএগুলো পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছেযেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।

দ্বিতীয়তবিষয় হচ্ছেইসলামী শরিয়তে হারামনিষিদ্ধগর্হিতএ ধরনের কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছেযৌনতার শিক্ষা দিচ্ছেমাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছেযদি এমনি কিছু সেখানে থাকেতাহলে সেগুলো পড়বেন না।

বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/8981/

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১-২. একই বিষয়ে আপনি পূর্বেও প্রশ্ন করেছিলেন, এবং আপনাকে উক্তরও প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং আপনি পূর্বের উত্তর অনুযায়ী আমল করবেন ইনশাআল্লাহ।

৩. দাম্পত্য জীবনে শিক্ষার্জনের জন্য কেয়ারিং ওয়াইফসারেন্ডারড ওয়াইফ এ জাতীয় বই গুলো পড়তে পারবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...