ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত।তারা উভয়ে বলেন,
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
وتحرم غیبتہ (الذمي) کالمسلم وظاہرہ أنہ لا غیبة للحربي إھ فتاوی شامي: ۵/۲۶۳ (کتاب الحظر والإباحة)
যিম্মি তথা মুসলিম দেশে অনুমতি সাপেক্ষ্যে অবস্থানরত কাফিরের গিবত করা মুসলমানদের মতোই হারাম। তবে হারবি তথা মুসলমানদের যুদ্ধরত কাফির বা কাফির র্রাষ্টের কোনো অমুসলিম ব্যাক্তির গিবত করা হারাম আওতাধীন হবে না।
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে,
فتوی(ھ): 857=554-5/1432
البتہ اگر اس کے کفر سے اسلام یا مسلمانوں کو ضرر کا اندیشہ ہو تو حکم بدل جائے گا یعنی ایسی صورت میں اس کی غیبت پر حرام ہونے کا حکم لاگو نہ ہوگا۔
যদি কোনো যিম্মি (তথা মুসলিম দেশে অনুমতি সাপেক্ষ্যে অবস্থানরত কাফির) এর দ্বারা ইসলাম ও মুসলমানের ক্ষতির আশংকা থাকে,তখন তার গিবত বা সমালোচনা করার সুযোগ থাকবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মোটকথাঃ- কোনো সাধারণ অমুসলিম বা কাফিরের গীবত করা যাবে না।করলে তার অধিকার নষ্ট করা হবে।যেজন্য তার তাকে খুশী করতে হবে।