জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পোশাক আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত।
কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে-
يا بني آدم قد انزلنا عليكم لباسا يوارى سوآتكم وريشا ولباس التقوى ذلك خير ذلك من آيت الله لعلهم يذكرون.
হে আদমের সন্তান সন্ততি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দুষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্য্যেরও উপকরণ। বস'ত তাকওয়ার যে পোষাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।-সূরা আরাফ : ২৬
,
পোশাক নিয়ে শরীয়তের কিছু নীতিমালা রয়েছে,যাহা মুসলমানদেরকে মেনে চলতে হবে।
তার মধ্যে অন্যতম একটি হলোঃ
নারী-পুরুষ একে অন্যের সাদৃশ্য গ্রহণ নিষিদ্ধ।
এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে অত্যন্ত কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ﺑِﺎﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ، ﻭَﺍﻟْﻤُﺘَﺸَﺒِّﻬَﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﺑِﺎﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ ) .
তরজমাঃহযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ মহিলার সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষ ও পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণকারী মহিলার উপর লা'নত দিয়েছেন।(সহীহ বুখারী-৫৪২৫)
বেশ ধারণ করার অন্যতম মাধ্যম হল পোষাক। অতএব নারীর জন্য পুরুষের পোষাক পরিধান করা আর পুরুষের জন্য নারীর পোষাক পরিধান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, নারীর পোষাক পরিধানকারী পুরুষকে এবং পুরুষের পোষাক পরিধানকারী নারীকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।-আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৯২
পোশাক সংক্রান্ত ইসলামের নীতিমালা বিস্তারিত জানুনঃ
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একাকি বাসায় বা স্বামীর সামনে উক্ত জ্যাকেট পরিধান করার সুযোগ থাকবে। তাছাড়া ঘরের অন্যান্য কারো সামনে এমনকি বুঝদার শিশু বা মাহরাম কোনো পুরুষের সামনেও এ পোষাক পরিধান করে যাওয়া যাবে না।