আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (4 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম। হযরত, কিছুদিন পরে আমার চীনে দুই সপ্তাহের জন্য সফর (অফিসিয়াল কাজে) করা হবে। এই প্রশ্নের উত্তর অনুযায়ী সেখানে থাকাকালীন সময়ে মাংস পরিহার করব সতর্কতাবশত। তবে মাছ, ডিম ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারে হুকুম কী? যদিও এগুলো হারাম নয়, এগুলো রান্না করার ক্ষেত্রে যেসকল উপাদান ব্যবহৃত হয় সেগুলো কী হারাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে?

আর হযরত এধরনের দেশে সফরের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের তুলনায় আর কোন কোন দিকে খেয়াল রাখা দরকার সেটাও জানালে উপকৃত হব।

closed

1 Answer

+1 vote
by (564,870 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন-

قُل لَّا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا أُهِلَّ لِغَيْرِ اللَّهِ بِهِ ۚ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَإِنَّ رَبَّكَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু। (সূরা আন'আম-১৪৫)

কুরআনের কারীমের ঘোষনা হলঃ

ولا تأكلوا مما لم يذكر اسم اللّٰه عليه ،

তোমরা খেওনা (ঐ সব পশু)যাতে (জবাইকালে) আল্লাহর নাম নেয়া হয় নাই।

মুসলিম দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে  গোশত খাওয়া জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।মুসলমানকে এবং মুসলিম সমাজের মানুষকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি? সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল -৭/২৯২,জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/686

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সেখানে তাদের জবাইকৃত কোনো প্রানীর গোশত ভক্ষন করবেননা।

এক্ষেত্রে মাছ ডিম ইত্যাদি খাবারের ক্ষেত্রে হারামের মিশ্রণ না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
তদুপরি আপনি খাবার প্রস্তুতকারকদের থেকে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট আকারে জেনে নিবেন।

পাশাপাশি যদি সেই এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেব বা সেই এলাকার কোনো আলেম থেকে জেনে নেন,তাহলে আরো ভালো হবে।

এক্ষেত্রে বাজার করে নিজে বা নিজের টিমকে দিয়ে পাকিয়ে খাবার খাওয়া সবচেয়ে সতর্কতা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
জাজাকাল্লাহ হযরত।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...