জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন
لن تنالوا البر حتي تنفقوا مماتحبون وما تنفقوا من شيء فان الله به عليم
অর্থাৎ )হে মুসলিমগণ( তোমরা কখনোও পুর্ণ সাওয়াব পাবে না, যে পর্যন্ত না নিজের (অতিশয়) প্রিয় বস্তু (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয় না করবে। আর যা কিছু (সাধারন ভাবে) ব্যয় করবে তাও আল্লাহ খুব জানেন। (সূরা আল ইমরান আয়াত ৯২)
কুরবাবীর পশু মোটা তাজা সুন্দর ও শিংযুক্ত হওয়া উত্তম। বর্ণিত আছে ,
عن ابي الأسود الانصاري،عن الله عن جده،عن النبي صلي الله عليه وسلم إن أحب الضحايا الي الله اغلاهاواسمنها
নবী সা এরশাদ করেন, কুরবানীর পশু বেশি মূল্যবান ও মোটাতাজা হওয়া আল্লাহ তাআলার নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয়। (বাইহাকী শরীফ ১৮৭৩. মুসনাদে আহমদ ১৫৫৩৩)
কুরবাবীর পশু ত্রুটি মুক্ত হওয়া জরুরী।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ: مَاذَا يُتَّقَى مِنَ الضَّحَايَا؟ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَقَالَ: «أَرْبَعًا الْعَرْجَاءُ والبين ظلعها والعرواء الْبَيِّنُ عَوَرُهَا وَالْمَرِيضَةُ الْبَيِّنُ مَرَضُهَا وَالْعَجْفَاءُ الَّتِي لَا تَنْقَى» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ ধরনের জানোয়ার কুরবানী করা হতে বেঁচে থাকা উচিত? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন, চার ধরনের পশু (কুরবানী করা হত) বেঁচে থাকা উচিত। (১) যে পশু স্পষ্ট খোঁড়া। (২) যে পশু স্পষ্ট কানা। (৩) যে পশু সুস্পষ্ট রোগা ও দুর্বল। যে পশুর হাড়ের মজ্জা নেই তথা একেবারেই শুকিয়ে গেছে।
(আবূ দাঊদ ২৮০২, আত্ তিরমিযী ১৪৯৭, নাসায়ী ৪৩৬৯, ইবনু মাজাহ্ ৩১৪৪, মুয়াত্ত্বা মালিক ১৭৫৭, আহমাদ ১৮৫১০, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৯১২, শারহু মা‘আনির আসার ৬১৮৭, ইবনু হিব্বান ৫৯২১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯০৯৪, ইরওয়া ১১৪৮, সহীহ আল জামি‘ ৮৮৬।)
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَسْتَشْرِفَ الْعَيْنَ وَالْأُذُنَ وَأَلَّا نُضَحِّيَ بِمُقَابَلَةٍ وَلَا مُدَابَرَةٍ وَلَا شَرْقَاءَ وَلَا خَرْقَاءَ.
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর (জানোয়ারের) চোখ, নাক ভালভাবে দেখে নেয়ার জন্য আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। যে পশুর কানের সম্মুখ ভাগ শেষের ভাগ কাটা গেছে। অথবা যে পশুর কান গোলাকারভাবে ছিদ্রিত হয়ে গেছে বা যার কান পাশের দিকে থেকে কেটে গিয়েছে সেসব পশু যেন কুরবানী না করি।
(আবূ দাঊদ ২৮০৪, আত্ তিরমিযী ১৪৯৮, নাসায়ী ৪৩৭২, ইবনু মাজাহ্ ৩১৪৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ৬৩৫৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯১০২।)
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَن نضحي بأعضب الْقرن وَالْأُذن
আলী (রাঃ) হতে এ হাদীসটিও রিওয়ায়াতকৃত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিং ভাঙ্গা, কান কাটা পশু দিয়ে কুরবানী করতে বারণ করেছেন।
(আত্ তিরমিযী ১৫০৪, ইবনু মাজাহ্ ৩১৪৫, আহমাদ ১১৫৮, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৯১৩, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৭১৯।)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) - (6 / 325)
"ولا بالخنثى لأن لحمها لاينضج شرح وهبانية، وتمامه فيه".
সারমর্মঃ-
হিজড়া প্রানী দিয়ে কুরবানী আদায় করা যাবেনা,কেননা তার গোশত পরিপক্ক নয়।
فتاوی ہندیہ
لَا تَجُوزُ التَّضْحِيَةُ بِالشَّاةِ الْخُنْثَى؛ لِأَنَّ لَحْمَهَا لَا يَنْضَجُ، تَنَاثُرُ شَعْرِ الْأُضْحِيَّةِ فِي غَيْرِ وَقْتِهِ يَجُوزُ إذَا كَانَ لَهَا نِقْيٌ أَيْ مُخٌّ كَذَا فِي الْقُنْيَةِ. (الْبَابُ الْخَامِسُ فِي بَيَانِ مَحَلِّ إقَامَةِ الْوَاجِبِ، ۵ / ۲۹۹، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
হিজড়া ছাগল দিয়ে কুরবানী আদায় করা যাবেনা,কেননা তার গোশত পরিপক্ক নয়।
যেই বকরির মধ্যে নর ও নারীর কোনো আলামত নেই,সে হিজড়া। তার দ্বারা কুরবানী করা যাবেনা।
ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ
(১৩/৩৭৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
হিজরা গরু দিয়ে কুরবানী আদায় করা যাবেনা।
এটাই হানাফি মাযহাবের ফতোয়া।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্য কোনো ম্যানেজ করার অনুরোধ রইলো।
প্রয়োজনে ঈদের ২য় দিন বা ৩য় দিন কুরবানী দিতে পারেন।