আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
১।আমি আজকে যুহরের ফরজ নামাজের পর ওয়াজিব তাকবির দিতে ভুলে গেছিলাম। তারপর যখন মনে হয়েছে সাথে সাথে দিয়েছি।যেহেতু ওয়াজিব ছুটে গেছে এখন আমার কি করা উচিত।

২।কুরবানী ঈদের দিন সুন্নাহ কি কি জানতে চাই। কুরবানীর আগ পর্যন্ত খালি পেটে থাকতে হয় এটা কি ঠিক?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
তাকবিরে তাশরিক জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত পড়া হয়। 

তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে,  যাতে নিজে শোনে। ( শামি : ২/১৭৮)

হাদিস শরিফে এসেছেঃ  

عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى الصبح من غداة عرفة يقبل على أصحابه، فيقول: على مكانكم، ويقول: “الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد” فيكبر من غداة عرفة إلى صلاة العصر من آخر أيام التشريق، (سنن الدار قطنى، باب العيدين-2/38، رقم-1721)

সারমর্মঃ 
রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন আরাফার দিন ফজর নামাজ পড়তেন,তখন ছাহাবায়ে কেরামদের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন।
নিজ স্থানে থেকেই বলতেনঃ
الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد”
আরাফার দিনের ফজর নামাজ থেকে আইয়্যামে তাশরিকের আছর পর্যন্ত তাকবির বলতেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ফরয নামায আদায় করার পর তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব।

নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক না বলে  (ক) মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে

(খ) অথবা নামায ফাসেদকারী কোনো কথা বা কাজ করলে

(গ) অথবা অযু নষ্ট হয়ে যায় এমন কোনো কাজ করলে তাকবীরে তাশরীক আদায়ের সময় বাকি থাকে না। তাই এক্ষেত্রে ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার জন্য তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে। আর নামাযের পর উপরোল্লিখিত কোনো কাজ না করলে বিলম্বে হলেও তাকবীরে তাশরীক পড়ে নিতে পারবে এবং এর দ্বারা ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকবিরে তাশরিক বলার আগে নামাজ ফাসেদ কারী কোনো কথা বা কাজ না করে থাকলে সেক্ষেত্রে মনে পড়া মাত্র তাকবিরে তাশরিক  বলার দরুন এর দ্বারা ওয়াজিব আদায় হয়ে গিয়েছে।

আর তাকবিরে তাশরিক বলার আগে নামাজ ফাসেদ কারী কোনো কথা বা কাজ করে থাকলে সেক্ষেত্রে তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।

(০২)
ঈদের দিনের সুন্নাত সমুহঃ

অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। [বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬]
মিসওয়াক করা। [তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/৫৩৮]
গোসল করা। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫]
শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮]
সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং  -৭৫৬০]
সুগন্ধি ব্যবহার করা। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০]
ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩]
সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭]
ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮]
১০
যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬]
১১
পায়ে হেটে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩]
১২
ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকাঃ
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

[মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫]
( কিতাবুস সুন্নাহ-৪১-৪২)

★কুরবানীর আগ পর্যন্ত খালি পেটে থেকে কুরবানীর গোশত দিয়ে আহার সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...