আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
/ জগ উপুড় করে কি পানি খাওয়া যাবে?

2/ নামাজে হঠাৎ মুখ নড়ে কোনো মনের  কথায়  কিন্তু গলা থেকে আওয়াজ বের হয়নি তাহলে কি নামাজ হবে?

৩/ আমি আল্লাহর কাছে তওবা  বা ইস্তিগফার করার সময় মুখ দিয়ে হাসি আসে যা জোর করেই আমি আটকি রাখি এখন আমি কি করতে পারি এর জন্য

৪/ কাউকে অপমান করার পর কিভাবে ক্ষমা পাবো যদিও তার কাছে মাপ চাইতে না পারি?


৬/ রোযা অবস্থায় মল ত্যাগের পর পানি দিয়ে ধোয়া সময় হালকা চাপ দিয়ে বাহিরে মুখ হালকা খুলে কি রোযা ভেঙে যাবে যদিও আমি জানিনা পানি মলদ্বার এর ভিতরে গেছে কিনা
৭/ কোনো খাবার হারাম কিনা তা সঠিক জানিনা যা হালাল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এখন কি আমি সেই খাবার খেতে পারি।

৮/ স্বামি যদি কুরবানির গোশত আত্মীয়দের না দেয় যারা কুরবানি করে নি তাহলে স্ত্রী কি স্বামিকে না জানিয়ে তাদের গোশত দিয়ে পারবে?

৮/ বাবা কোনো খাবারভ ভাইকে আনতে দিলে সেখান থেকে ভাই টাকা নিয়ে দোকানদারকে কম টাকা দিয়ে সেই খাবার আনলে তা কি খাওয়া জায়েজ মেয়ে হিসেবে?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رِوَايَةً أَنَّهُ نَهَى عَنِ اخْتِنَاثِ الأَسْقِيَةِ،

আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি মশকের মুখ উল্টা অবস্থায় রেখে তা হতে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন।

(সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৪১৮), বুখারী ও মুসলিম,তিরমিজি ১৮৯০)

উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা সুয়ূত্বী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ দুর্গন্ধের কারণে এ কাজ করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে, প্রতিনিয়ত এভাবে পানি পান করলে পাত্রের গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যাবে।

এটাও বলা হয় যে, পানির পাত্রের মুখ প্রশস্ত হওয়ার কারণে পানকারীর ওপর যেন পড়ে না যায় সে জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে পান করতে নিষেধ করেছেন। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৭১৬; তুহফাতুল আহ্ওয়াবী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৮৯০)

সকল ফকীহ একমত যে, এ নিষেধটি সতর্কতামূলক نَهْيُ تَنْزِيهٍ হারাম নিষেধ নয়। অতঃপর বলা হয়, এ নিষেধের কারণ হলো মশকের মুখে কোন ক্ষতিকর বস্তু থাকতে পারে যা তাকে কষ্ট দিবে, একই সাথে পাকস্থলীতে পানি যেয়ে ক্ষতি সাধন করতে পারে। এও বলা হয় যে, এভাবে পান করলে অন্যের কাছে অরুচিকর হতে পারে। এও বলা হয়েছে যে, এটা দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে অথবা এভাবে পান করাটা অরুচিকর। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০২৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পাত্রের মুখ উল্টিয়ে পানি পান করা যে বৈধ,সেটার স্বপক্ষে দলিলঃ-

 حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ إِلَى قِرْبَةٍ مُعَلَّقَةٍ فَخَنَثَهَا ثُمَّ شَرِبَ مِنْ فِيهَا

ঈসা ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু উনাইস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (পিতা) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যে, তিনি একটি ঝুলন্ত মশকের দিকে উঠে যান এবং এর মুখ উল্টে ধরে তা থেকে পানি পান করেন।
(তিরমিজি ১৮৯১)

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ، عَنْ جَدَّتِهِ، كَبْشَةَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَرِبَ مِنْ فِي قِرْبَةٍ مُعَلَّقَةٍ قَائِمًا فَقُمْتُ إِلَى فِيهَا فَقَطَعْتُهُ .
কাবশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে আসলেন। তিনি দাড়িয়ে থাকাবস্থায় একটি ঝুলন্ত মশকের মুখ হতে পানি পান করলেন। আমি পরে উঠে গিয়ে মশকের মুখের সেই অংশ (বারকাতের আশায়) কেটে রেখে দেই।

(সহীহ,তিরমিজি ১৮৯২ মিশকাত (৪২৮১)

★সুতরাং জগ উপুড় করে পানি পান করা যাবে। এটা নাজায়েজ নয়। 

(০২)
নামাজ হবে।

(০৩)
নিজের মনকে বুঝাতে হবে,হাসি কন্ট্রোল করতে হবে।
জাহান্নামের ভয়াবহতা সম্পর্কে ভাবতে হবে।

(০৪)
মাফ চাইতেই হবে।

মাফ চাওয়া অসম্ভব হলে তার গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন।

(০৬)
এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে,যাতে করে পানি মলদ্বার এর ভিতরে কোনোভাবেই রোযা অবস্থায় না যায়।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পানি মলদ্বার এর ভিতরে না গেলে রোযা হয়ে যাবে 

(০৭)
হ্যাঁ, খেতে পারবেন।
তবে অনুসন্ধান করে যাচাই-বাছাই করে খাওয়াই উত্তম।

(০৮)
বাবার আনতে দেয়া সেই খাবার খাওয়া জায়েজ হবে।
তবে সেই বেঁচে যাওয়া টাকা বাবার অনুমতি ছাড়া তার ভাই ব্যবহার করতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...