আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
91 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (17 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
১)স্বামী দূরে থাকে জব করে,স্ত্রী ঢাকায় বাবার বাড়িতে। বিয়ের পর তুলে নেয়ার অনুষ্ঠান হবে তাই স্বামী ঢাকায় এসে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আনে অর্থাৎ স্ত্রী শশুরবাড়িতে আসে। মহিলা কলিগ নিয়ে স্ত্রী অসন্তুষ্ট স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া অবস্থায় স্ত্রী নারী কলিগ সম্পর্কে জিগেস করলে স্বামী বলে আমার দরকারে কথা বলতে হয়,তুমি তোমার মতো থাকো। তোমার ভালো না লাগলে চলে যাও। তোমাকে খুলনা নিবো না। (খুলনায় স্বামী নতুন বাসা ভাড়া নিয়েছে স্ত্রীকে নিয়ে যাবার কথা)।মেয়ে কলিগদের সাথে কথা বলি শুধু দরকারে। খুলনা নিচ্ছি না তোমাকে।
এখানে স্ত্রী তালাক চায় নি আগে। তালাক সম্পর্কে স্ত্রী কিছু বলেওনি।

স্বামী আরও বলে,আজকে শশুরবাড়িতে এসেই ঝগড়া লাগায় দিসো,কালই তোমাকে আবার ঐ বাসায় দিয়ে আসবো।(মেয়ের বাবার বাড়ি)

আর শব্দ শুনে শাশুড়ি(স্বামীর মা)হুট করে এসে বলে, এখনো বিয়ের অল্প দিন,তোমরা ঝগড়া করতেসো। বনিবনা না হলে ছাড়াছাড়ি কইরা ফেলো। । কিছুক্ষণ পর স্বামী মাকে(স্বামীর মা) শুনিয়ে বলে, রেগে গিয়ে আবারও বলে নারী কলিগের সাথে আমি তো প্রেমালাপ করি না। ও আমাকে এটা নিয়ে বলতেসে।আমার কি জব করা লাগবে না? স্ত্রীকে বলে,ভালো না লাগলে চলে যাও। তোমার যদি সমস্যা হয়,তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো। তুমি আজকে অনেক দিন পর দেখা হইসে এমন করতেসো। (স্বামী অনেকদিন পর স্ত্রীর কাছে আসছে)

স্ত্রী একবারও তালাকের কথা বলেইনি। ইচ্ছাও প্রকাশ করেনি।শুধু একবার স্বামী ও শাশুড়ির সামনে স্বামীকে বলে,আপনি শুধু বলেন শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করসি,শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করসি।তাহলে গ্রামের একটা মেয়ে বিয়ে করতেন। কিন্তু স্ত্রী মোটেও তালাক চায় না,আর তালাক দেন,ছেড়ে দেন এগুলা বলে নি,শুধু তাকে নাজায়েযটা ধরিয়ে দিয়েছে। উপরের এ শব্দগুলোই যথাসম্ভব বলেছে। হুবহু মনে রাখা সম্ভব নয়।

এখানে কি তালাক হয়ে গেছে? আর তালাকের মজলিশ হয়েছে? স্বামী স্ত্রী কি একত্রে ঘর সংসার করতে পারবে?

২)স্বামী আরেকদিন রাগ করে বলেছে,"যা খুশি করো।" এতে তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...