আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম,
হেদায়েত এর আগে আমার রিলেশন ছিলো,তখন ই পাপের ভয়ে আমি বাসায় বিয়ের কথা বলি, বাসায় রাজি হয়নি।
কথা অফ করি হারাম বলে,নানান বিষয় নিয়ে বাবা মা র কথা চিন্তা করে একসময় বাদ দেওয়ার চেষ্টা করি পুরোপুরি ভাবে।
অন্য জায়গায় বিয়ের কথা বলি।
বাট মন থেকে মেনে নেওয়া কষ্ট হচ্ছিলো।
একসময় মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ি,ঔষুধ নিয়মিত খেলেও ভুলা সম্ভব হয়নি।তাই ভাবি যে বাসায় আবার বলবো বিয়ে করার কথা।
দোয়া করতে থাকি,কোন একভাবে জানাতে পারি যে আমি তাকেই বিয়ে করতে চাই।
কিন্তু বাবা মা সেই পরিবারকে না দেখেই বিয়ে দিতে নারাজ, নানান কন্ডিশন দেয় রাজি হলেও মাঝে মাঝে,তারপর আবার রাজি হয় না।

বড়লোক ডাক্তার এরকম নানান চাহিদা তাদের,বলে আরো পড়াশোনা করতে পরে বিয়ে দিবে।আমি ডেন্টাল এ পড়ছি।
আমি যদি তাদের অমতে সেই ছেলেকে বিয়ে করে নিই এতে আমার গুনাহ হবে?
দুনিয়াবি এই পড়াশোনা যদি আমি ছাড়ি বাবা মা কষ্ট পাবে, এতে কি আমার গুনাহ হবে?

তারা সারাদিন বলে আমার পিছনে কত করচ করছে,যা যা দিছে আমি কি ফেরত দিতে পারবো?
আমি তাদের কথা না শুনলে জাহান্নামি হবো এরকম নানান বদদোয়া দিচ্ছে।
আমার করণীয় কি

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাবঃ-


বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)! (সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/


পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ রয়েছে যে

পিতা মাতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।

আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780 

চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার পরামর্শেই বিয়েতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে। আপনি  মাতাপিতা এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে করুন 

পারিবারিক ভাবে বিয়ে করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাকে অব্যাহত রাখুন। আমরা আপনাদেরকে পালিয়ে বা গোপন বিয়ের পরামর্শ কখনো দিতে পারিনা।

তাদের অমতে সেই ছেলেকে বিবাহ করলে তারা কষ্ট পাবে।

তারপরও যেহেতু আপনারা উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক,তাই যদি দুজন সাক্ষীর সামনে আপনারা বিবাহ করে নেন, তাহলে উক্ত বিবাহ বৈধ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...