আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
edited by
১। আমাদের বাড়ির সবাই দুই ভাই থেকে এখন  বড় গুষ্টি হয়েছে আনুমানিক ৫০ ফ্যামিলি এখন সবাই আমরা আত্মীয়। একজন আমার প্রতিবেশি সে বয়সে আমার অনেক বড়  সে আমাকে নাম ব্যঙ্গ করে ডাকে আমার নাম সাইফুল ইসলাম আমি কালো দেখে  সে আমাকে কালা মানিক বলে ডাকে মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। তার সাথে আমার এই বিষয় নিয়ে না অন্য কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

★এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে সে আগে আমাকে কালা মানিক বললে বেশী খারাপ লাগতোনা কথা কাটাকাটির কারণে এখন বললে বেশি  খারাপ লাগবে । তাকে সালাম দিলে তার সাথে কথা বললে সম্পর্ক ভালো করতে গেলে সে আবার আমাকে নাম ব্যঙ্গ করে ডাকবে। তার সাথে যদি না কথা বলি আমার কি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বা তিন দিনের বেশী কথা না বলে থাকার গোনাহ হবে?

২।একজনের সাথে আমার ঝামেলা হয় মারামারি হয়নাই সে আমার বন্ধু ছিলো। তার স্বভাব চরিত্র বেশি ভালো না নেশা করে আবার চুরি করে। সে আবার আমাদের বাড়ির মেয়েদের উত্ত্যক্ত করছে। তার স্বভাবের কারণে না অন্য কারনে তার সাথে ঝামেলা হয়। সে এখন সৌদি আরবে আছে ঝামেলা হওয়ার কারনে দেশে থাকতে কথা বলি নাই অনেক দিন। তার কাছে আমার প্রয়োজন নাই এখন যদি কথা না বলি তাহলে কি গোনাহ হবে?

৩।তিনদিনের বেশি কথা না বললে কোন ধরনের গুনাহ হবে কবিরা নাকি সগিরাহ

৪।এক হিন্দু স্যারের হক নষ্ট করছিলাম উনাকে ফোন দিছিলাম আমার নাম যখন বলছিলাম নেটওয়ার্ক এ একটু সমস্যা ছিলো আবার বলছিলাম তারপর স্যার বলল বলেন সিওর না নাম সুনছে কিনা আমি আমার অন্যায়ের কথা বলছি আর বলছি মাফ চাই  স্যার বলল ঠিক আছে  ছাত্র শিক্ষকের কাছে সন্তানের মত আমার রাগ নাই।
হিন্দু স্যারের কাছে কয়েকটা  অন্যয়ের কথা বলি নাই যে উনার পিছনে অনেকের সাথে বলতাম উনি যে সুর দিয়ে পড়াতো সেটা যে আমি ক্লাসে ব্যাঙ্গ করতাম সেটা।   একটা অন্যয়ের কথা সিওর না একবার মনে হয় স্যারকে বদনা দিয়ে পানি মারছি আরেকবার মনে হয় মারি নাই আবার মনে হয় এটা  ধারনা যে  পানি মারছি উপরে পরে নাই। আবার মনে হয় পরিকল্পনা করছি কিন্তু মারি নাই।স্যার যে বলছে ছাত্র শিক্ষকের কাছে সন্তানের মত আমার রাগ নাই এখন কিছু বিষয় বলিনি যে এখন কি আমার আবার  মাফ চাইতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার সাথে এভাবে কথা বলা একেবারে বন্ধ করে দিলে আপনার গুনাহ হবে।
আপনি প্রয়োজনে কথা কমিয়ে দিতে পারেন।
তা সম্ভব না হলে ২/১ দিন পরপর কমপক্ষে শুধুমাত্র সালাম চালিয়ে যাবেন।     

আরো জানুনঃ

(০২)
গুনাহ হবেনা।
তবে দেশে আসার পর দেখা সাক্ষাৎ হলে কথা বলবেন।

(০৩)
কবিরা গুনাহ। 

(০৪)
আবার মাফ চাইতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...