আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
আসসালামু 'আলাইকুম শ্রদ্ধেয় মুহতারম ।

আমার জাওয সাহেব একটি সরকারি প্রজেক্টে কাজ করছেন, যারা এখানে কাজ করছে কিছু পুরুষ এবং দুজন নারী আছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া যেমন-মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে কাজের আপডেট শেয়ার করে। হোয়াটসঅ্যাপে এই টিমের একজন নারী সদস্য ও আমার জাওয মেসেজে প্রজেক্টের নানা ফাইল শেয়ার করে। কনভারসেশন এ দেখলাম ফাইল শেয়ার করা বেশ কিছু ফাইল, তবে বেশ কিছু টেক্সট মেসেজও আছে,সবগুলোতে প্রজেক্টের ব্যাপারেই কথা লেখা। কোনো ব্যক্তিগত বিষয় বা আদারস কথা নাই। এর মধ্যে কিছু বিষয় হলো-
১)জাওয সাহেবের একটা ফাইল স্ক্যান করে দেয়ায় ঐ মহিলাকে তিনি Thank you লিখেছেন,ফ্লাওয়ার সিম্বল ইউজ করে। আমি বা কোনো ছেলে হলে লাভ সিম্বল দেন। আর এই thank you এর উপর ঐ মহিলা লাল লাভ রিয়েক্ট দিসে। প্রজেক্টের একটা কি বিষয়ে সমস্যা দেখা দেয়,ঐ মেসেজে জাওয sad ইমোজি দিয়েছেন।
২)কাজটায় একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা সমস্যার কথা মেসেজে ফানিভাবে ঐ মহিলা বলে-"eita jodi erkm output hoy taile amr ghorer chal duidin ei ure jabe eemon hobe" এই টাইপ ফানি মেসেজ,sathe  এই ইমোজি দেয়া।

উল্লেখ্য,এই মহিলা জাওযের চেয়ে এক বছর সিনিয়র(বয়স+শিক্ষাগত) এবং মহিলা বিবাহিত।  এই মহিলা মেসেঞ্জার বা টেলিগ্রামে এড নাই তার সাথে। প্রজেক্টের অন্যজন নারীও বিবাহিত।

আমি জাওযকে প্রশ্ন করেছি,গ্রুপে না কথা বলে হোয়াটসএপে কেনো। উনি বলেছেন,গ্রুপে সব স্যাররা সবাই আছেন, আমাদের সবাইকে সবার সাথে কমিউনিকেট করা লাগে। আর মেয়েদের দুজনকে নিয়োগ দেয়া হইসে তারা ঐ বিষয়ে কোয়ালিফাইড বেশি দেখে। ঐ আপু আমাকে ফাইল,গ্রাফ বা কাজ রিলেটেড কিছু পাঠালে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়।

এই বিষয়ে আমি প্রচন্ড রাগ এবং জিদ করেছি কারণ আমি এবং আহল দুইজনেই দ্বীন মানার চেষ্টা করি। আমি চেষ্টা করি আন্তরিকভাবে,তিনি একটু মোটামুটি আর কি। এটা আমাকে পীড়া দিচ্ছে অনেক। তার একটু একটু বুঝ থাকলেও মহিলার তো নাই। সে চাইলেও ঐখানে মেসেজ দেয়া বন্ধ করতে পারবেনা,কারণ ফাইলগুলা কোথায় শেয়ার করবে।আর জবটা ছাড়লেও লাভ নাই,সব জায়গায়ই এখন নারী।

তাদের এই মেসেজের বিষয় কি খুবই খারাপ হয়েছে নাকি নরমাল,আর আমি যেমন রিয়েক্ট করেছি তা উচিত হয়েছে কি হয়নি। পরামর্শ চাই এবিষয়ে কারণ যেখানেই জব করুন জাওয,এরকম পরিস্থিতি আসবেই। এমনকি আলেম সাহেবদেরও বা দ্বীনি পুরুষদেরও নারীদের সাথে কথা বলতে হয় দরকারে দেখি। জাওয এর এই হোয়াটসঅ্যাপের বিষয় আমার সহ্য  করতে পারছিনা। আমি কান্না করে দিন পার করছি,আমলে অনীহা আর খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়েছে আমার। আমি এই লোড বহন করতে অক্ষম,কিছুতেই পারছি না। ঐ মহিলার দ্বীনি বুঝ নাই। ভার্সিটি পড়ুয়া। সে মহিলা হোক বিবাহিত,পর্দার বুঝ না থাকলে সংজতভাবে মহিলারা কথা বলে না। ইমোজি দেয় কথার সময়।
প্রশ্ন১: এমন কি আয়াত বা দলিল তাকে দেখাবো বা কি দিয়ে বুঝাবো যে মেসেজে ফাইল যেনো না দেয়,বা কথা না বলে,হোক তা কাজের কথা।
প্রশ্ন২: উপরে বর্ণিত এহেন কথোপকথন বা আচরণ কি উচিত বা জায়েয?

প্রশ্ন ৩: আমি কিভাবে স্বাভাবিক হবো এখন? কিছুতেই এই লোড নিতে পারছিনা। বিছানায় পরা অবস্থায় আছি।

বিঃ দ্রঃ জাওয অনেক রাগী। চরিত্র নিয়ে কথা বললে রাগ করে।এমনে আমার জানামতে উনি দুঃশ্চরিত্র না। কিন্তু বিষয়টা সলভ করতেই হবে।

সাহায্য করার জন্য অনেক জাঝাকাল্লাহ শাইখ।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর জন্য এভাবে প্রাইভেট মেসেজ কথা বলা, কোনো কিছু শেয়ার করা, রিয়েক্ট করা, নিরাপদ হচ্ছে না। চেষ্টা করবেন যাতে স্বামী গ্রুপে আলোচনা করেন। যাই হোক এজন্য স্বামীর সাথে মন্দ আচরণ করবেন না। স্বামীর সমস্ত প্রয়োজনকে আন্তরিকতার সাথে পূর্ণ করবেন।এবং স্বামীর জন্য কল্যাণ চেয়ে চেয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন। নিজের মনকে দুর্বল করবেন না। স্বামীকে আপন করে রাখতে, যা কিছুর প্রয়োজন, শরীয়তের গন্ডির ভিতরে থেকে সবকিছুই করবেন। স্বামীকে মন খুলে ভালবাসবেন। প্রয়োজনে স্বামীকে বলবেন, ওয়াটসাপে গ্রুপ করে আপনাকে জয়েন করে নিতে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...