আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

সম্মানিত উস্তাদ,এই কয়েকটি বিষয় নিয়ে আমি খুব চিন্তায় আছি।অনুগ্রহ করে পয়েন্ট আকারে উত্তর দিবেন।

১/ আমাদের কলেজে বিবাহিত ছাত্রিদের ছাড়া আর বাকি সব ছাত্রিদের পড়া লিখার জন্য উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।দরিদ্র, ধনি সব অবিবাহিত ছাত্রিদেরই দিয়েছে।এখন যখন আমাদের কলেজের খরচের জন্য টাকার প্রয়োজন তখন দেখা যায় তারা উপবৃত্তি দেয়না।যখন প্রয়োজন নেই তখন দেয়।এখন যেমন, গতকাল আমাদের উপবৃত্তি দিয়েছে, কিন্তু আমাদের গত বছরই কলেজের পড়াশুনা শেষ হয়ে গেছে।অথচ তারা টাকা দিয়েছে গতকাল।এখন আমরা তো আর পড়ছি না।কারণ আমাদের পড়া শেষ।তাহলে এই টাকা কি আমরা আমাদের অন্য কোন কাজে খরচ করতে পারবো?
২/ আমি বিতির নামায পড়ার সময় শেষ বৈঠকে দোয়ায় মাসুরা পড়ে সবে মাত্র এক পাশে সালাম ফিরিয়েছি।ঠিক তখন আমার মনে হলো যে আমি দোয়ায় মাসুরায় এক স্থানে তিন আলিফের জায়গায় ভুল করে এক আলিফ টেনে ফেলেছি।তাই আমি আরেক পাশে সালাম না ফিরিয়ে দোয়ায় মাসুরা আবার পুরোটা পড়েছি বা যে জায়গায় কম টেনেছি সেই জায়গাটা শুদ্ধ করে পড়ে সাহু সিজদা দিয়ে তারপর দু পাশে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করেছি।এখন আমার উক্ত বিতির নামায টা কি হয়েছে? নাকি আবার কাজা করবো?
৩/ একদিন বিতির নামায পড়ার সময় তৃতীয় রাকাত পড়ে পুনরায় আবার হাত বেধে দুয়ায় কুনুত না পড়ে,ভুল করে রুকু দিয়ে ফেলেছি।রুকু দেওয়ার পর মনে পড়লে তখন হাত বেধে দুয়া কুনুত পড়ে আবার রুকু দিয়েছি এবং শেষে গিয়ে সাহু সিজদা দিয়েছি।এখন নামায কি হবে?
৪/ আরেক দিনও বিতির নামাযে দুয়া কুনুত পড়তে ভুলে গেছি। তখন তৃতীয় রাকাতের এক সেজদা দেওয়ার পর মনে পড়লো যে দুয়া কুনুত পড়িনি,তখন আরেক সেজদা না দিয়ে দাঁড়িয়ে পুনরায়  হাত বেঁধে দুয়া কুনুত পড়ে রুকু দিয়ে তারপর আবার ২সেজদা দিয়ে এবং শেষে সাহু সেজদা দিয়ে নামায শেষ করেছি।এখন নামায হয়েছে?
৫/ বাচ্চাদের পেছনে তাদের দোষ ত্রুটি কাউকে বললে সেটা কি গিবত হবে?
৬ / কেউ যদি অজুর স্থানে পস্রাব ফেলে এবং ভালো ভাবে ধুয়ে দেয় তাহলে সেখানে অজু করা যাবে?
৭/ কেউ যদি দাওয়াতে আমাদের কে মুরগির মাংস খাওয়ায় কিংবা কেউ যদি আমাদের জন্য মুরগির মাংস পাঠায় তাহলে আমরা সেটা সন্দেহহীন ভাবে খেতে পারবো?আবার বাজারে মুরগির শরীরের ভিবিন্ন অংশ আলাদা ভাবে কিনতে পাওয়া যায়।এগুলো কেনা যাবে? কারণ আমরাতো জানিনা এই মুরগি দোকানদার আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করেছে কিনা।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এই টাকা আপনারা আপনাদের অন্য কোন কাজে খরচ করতে পারবেন।

(০২)
আপনার উক্ত বিতর নামাজ আদায় হয়েছে।
পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

(০৩)
নামাজ হবে।

(০৪)
নামাজ হয়েছে।
তবে এমনটি আর করবেননা।

এরকম অবস্থা আবারো হলে দোয়ায়ে কুনুত পড়বেননা,শুধুমাত্র শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

(০৫)
হ্যাঁ,গীবত হবে।
তবে এটা যদি আপন কাউকে বলা হয়,যে আপনার বাচ্চাকে শাসন/সংশোধন করবে,যেমন বাচ্চার বাবা,বাচ্চার দাদা দাদি,বাচ্চার নানা নানি ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে সংশোধন করার লক্ষ্যে তাদেরকে এটা বলা যাবে।

(০৬)
সেখানে অযু করা যাবে।

(০৭)
উভয় ছুরতেই সেই গোশত খাওয়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...