আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,
আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহনিকের গুরুত্ব দিয়েছেন। বাচ্চা হওয়ার পর এটি একটি জরুরী সুন্নাত। আমার চার বাচ্চা, চারজনের ক্ষেত্রেই এই সুন্নাতের ওপর আমল করার তৌফিক আল্লাহ সুবহানা ওয়া তা'লা দিয়েছেন। তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে না জেনে (নিকটাত্মীয়ের পীড়াপীড়িতে) এমন এক জনকে দিয়ে তাহনিক করিয়ে ফেলেছি যার চরিত্রে কোন ভাল গুন এর চেয়ে খারাপ এর প্রাধান্য মাত্রাতিরিক্ত বেশী। সময়ের প্ররিক্রমায় পরবর্তীতে তার অনেক খারাপ বিষয় আমার নজরে আসে। ধীরে ধীরে আমার সন্তানের মাঝেও সে বিষয়ের প্রাধান্য দেখতে পাচ্ছি। যেমন: নিজের পছন্দকে অত্যাধিক গুরুত্ব দেয়া, অন্যদের চেয়ে নিজেকে বড় মনে করা, ছোট ভাই বোনের জিনিস নিতে চাওয়া, তাদেরকে তাচ্ছিল্য করা, হক নষ্ট করা, অন্যের জিনিস  পাওয়ার জন্য অনেক সময় ধরে ফিকির করা, নিজের ভুল না দেখে অন্যের ভুল দেখা, নামাযে মনযোগ কম, আমলে অলসতা ইত্যাদি। তার অনেক ভালো গুন আছে মা শা আল্লাহ আমরা তার নাম রেখেছি আব্দুল্লাহ এবং তার নামের তাসীর তার উপর আছে মা শা আল্লাহ। যেমন: পিতা মাতার আনুগত্য, ছোট ভাই বোনের দেখাশোনা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি। তবে ধীরে ধীরে তাহনিক করা ব্যক্তির আচরণ ও ওর মাঝে প্রকট হচ্ছে। আমার জানামতে বুযুর্গ, ইলম ও আমল ওয়ালা ব্যাক্তি দিয়ে তাহনিকের উদ্দেশ্যেই এটা যে যেন তার উত্তম স্বভাব চরিত্র বাচ্চার মধ্যেও আসে।
আমরা ওকে উত্তম আখলাকের ব্যাপারে উৎসাহিত করি এবং ওর খারাপ দিক গুলো নিয়ে ওকে নছিহত করি ও সতর্ক থাকতে বলি।কিন্তু আমার ছেলেটা নিজেও ওর খারাপ বিষয়গুলো ইম্প্রুভ করে এগিয়ে যেতে গিয়ে বারবার বিফল হচ্ছে। ওর মানসিক কষ্ট দেখে আমরা ও খুব পেরেশানি তে আছি৷
এখন এ অবস্থায় এ বিষয়ে দায়িত্বশীল হিসেবে কি আমল করা যেতে পারে, বা কি পদক্ষেপ নিতে পারি  অনুগ্রহ করে জানালে আমাদের খুব উপকার হয়৷

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 
"حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، وعبد الله بن براد الأشعري، وأبو كريب، قالوا: حدثنا أبو أسامة، عن بريد، عن أبي بردة، عن أبي موسى، قال: «ولد لي غلام فأتيت به النبي صلى الله عليه وسلم فسماه إبراهيم وحنكه بتمرة»".صحيح مسلم (3/ 1690)
আমার এক সন্তানের জন্ম হলে, আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের নিকট নিয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন ইবরাহিম। অতঃপর খেজুর দিয়ে তাহনিক করেন, তার জন্য বরকতের দো‘আ করেন এবং আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। এটা আবু মুসার বড় সন্তানের ঘটনা।( সহীহ মুসলিম)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু পূর্বে আপনার সন্তানকে নেককার লোক দ্বারা তাহনিক করাতে পারেননি, এখন আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। এবং একজন হুজুরের কাছে দ্বীন শিক্ষার জন্য প্রেরণ করুন। আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য কল্যাণের দু'আ করুন। আল্লাহ অবশ্যই আপনার সন্তানের জন্য কল্যাণের ফয়সালা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...