আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
804 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
মানুষের পুরো চেহারা না একে এক চোখ,হাত পা চুল আকা কি জায়েজ?

পর্দা করে ছবি দেয়া কি জায়েজ? ভ্রু কি পর্দার অন্তর্ভুক্ত?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, 
প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

হাদিস শরীফে এসেছে,

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

ছবি তোলা হারাম কেন,জানুনঃ
,
প্রশ্নে উল্লেখিত শুধু এক চোখ,এক হাত,পা,চুলের ফটো সমূহের ব্যবহার যদিও বৈধ,তবে এ সব অনর্থক কাজে সময় ব্যয় না করতে উলামায়ে কেরাম পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

কোরআনে কারীমে মু'মিনদের উত্তম ও প্রশংসনীয় গুনাবলীর আলোচনা করতে যেয়ে বলা হয়,
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣُﻌْﺮِﺿُﻮﻥَ
যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত।(মু'মিনুন-৩)
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻣَﺮُّﻭﺍ ﻛِﺮَﺍﻣًﺎ
এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।
(ফুরকান-৭৩)

আরো জানুনঃ 

আরো জানুনঃ 
,
مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح - (13 / 244):
"وفي شرح السنة: فيه دليل على أن الصورة إذا غيرت هيئتها بأن قطعت رأسها أو حلت أوصالها حتى لم يبق منها إلا الأثر على شبه الصور فلا بأس به، وعلى أن موضع التصوير إذ نقض حتى تنقطع أوصاله جاز استعماله. قلت: وفيه إشارة لطيفة إلى جواز تصوير نحو الأشجار مما لا حياة فيه، كما ذهب إليه الجمهور وإن كان قد يفرق بين ما يصير ومآلا وانتهاء وبين ما يقصد تصويره ابتداء. والله أعلم".
সারমর্মঃ ছবির যদি মাথা কেটে ফেলা হয়,,,,,তাহলে কোনো সমস্যাকর নয়।   


জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144004200523 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে হাদীস শরীফে প্রানীর ছবি দ্বারা এমন ছবির নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যার দ্বারা তার জানদার হওয়া বুঝা যায়। 
অথবা এমন ছবি হবে,যার ইবাদত করা যায়।
,
এই কারনেই যদি ছবির মাথার অংশটুকু কেটে ফেলা হয়,তাহলে সেটি আঁকা হারাম নয়।
সুতরাং বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রানীর শুধু চোখ,শুধু হাত,শুধু পা ইত্যাদির ছবি আঁকা যাবে।
,
(০২)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

المرأةُ عورةٌ فإذا خرجتْ اسْتَشْرَفَها الشيطانُ وأقربُ ما تكونُ مِن وَجْهِ ربِّها وهي في قَعْرِ بيتها

নারী গোপনজিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে চুপিসারে দেখে। নারী নিজ প্রভুর সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে। (তিরমিযি ১১৭৩)

★ফেসবুকে অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েদের ছবি আপলোড করা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েয।

তবে যদি সম্পূর্ণ হিজাব মেনে চলা হয় এবং চোখসহ সম্পূর্ণ চেহারা ঢেকে রাখা হয় তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নিজেদের হিজাব পরিহিত ছবি আপলোড করা নাজায়েয নয়। 

জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফিতনার আশংকা থাকার কারন পর্দা করে ছবি দেয়া জায়েজ নেই।
কারন এহেন ছবিতেও অনেকেও মনে লালসা জাগে,তারা সেই দৃষ্টিতেই সেই ছবি গুলো দেখে থাকে।
,
★ভ্রু ঢাকাও জরুরি। 
পরপুরুষ এর সামনে ভ্রু দেখানো জায়েজ  নেই 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...