আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার কাছে গত এক বছরে জমানো ৪০ হাজার টাকা আর ৯ আনা ৮ রতি স্বর্ণ আছে। টাকাটা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে জমানো আর এর কিছু অংশ জমিয়েছি আগামী জুলাই মাসে এর থেকে ১৩  হাজার টাকার মত  একটা কোর্সের সেমিস্টার ফি দেয়ার জন্যে আর মাঝে মধ্যে প্রয়োজনে এখান থেকে খরচ করি সংসারের বিভিন্ন কাজে। খরচের পরও এক বছর পর এই পরিমাণ টাকা থাকার কারণে গত মে মাসে এর যাকাত দিয়েছি।

এখন কি আমার কুরবানী দেয়া ওয়াজিব হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1688
মালে নামী(ক্রমবর্ধমান)মালের ব্যখ্যা জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার উপর কুরবানি ওয়াজিব। গত যত বৎসর ধরে যাকাত দিচ্ছেন বা নেসাব পরিমাণ এই স্বর্ণের মালিক আছেন, তত বৎসরের কুরবানি আপনার উপর ওয়াজিব। গত বৎসর সমূহের জন্য একটি করে বকরি সদকাহ করে দিবেন। স্বামী স্ত্রী এক অংশে শরীক হতে পারবে না।বরং প্রত্যেকের জন্য পৃথক পৃথক অংশ থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...