আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in সালাত(Prayer) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/নামাজে এক মুহূর্তের জন্য সোজা হয়ে দাঁড়ালে নামাজ হবে কি?

২/নামাজে সূরা মেলানোর পর এক রোকন পরিমাণ  দেরি হলে সাহু সিজদাহ দিতে হবে কি?

৩/শক্ত মাখরাজ উচ্চারণে stress দিলে একসাথে দুই  হাত নড়ে যায়। আমলে কাসীর হবে কি?

৪/রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম কিন্তু সন্দেহ হল দাঁড়ালাম কিনা তারপর সিজদায় যাওয়ার আগে সোজা হয়ে দাঁড়ালাম। সোজা হয়ে দাড়ানো থাকাকালীন দুই হাত একসাথে নড়ে উঠলে আমলে কাসীর হবে?

৫/নামাজে বৈঠকের সময় পায়ের সাথে দুই হাত মিলে থাকে।এখন যদি পা নাড়ানো হলে দুই হাতও নড়ে উঠবে।এক্ষেত্রে নামায কি ফাসিদ হবে?

৬/নামাযে আমার সাধারণত মাখরাজের কারনে সুরা ফাতিহার কিছু অংশ দুইবার তেলওয়াত করতে হয়।সেক্ষেত্রে সাহু সিজদা দিতে হয়।  এখন যদি কোনো নামাজে মনে না পড়ে যে আমি আসলে দুইবার পড়েছি কি না,বা প্রবল ধারণা হয় পড়েছি,তখন কি সাহু সিজদাহ দিব?সন্দেহ বশত সাহু সিজদা দেওয়া যায় না।

৭/সাহু সিজদাহ ২টি দিতে হয়।এখন সন্দেহ বশত ৩টি দিলে নামায কি হবে?

৮/২টি সিজদার মাঝে বসার পর ২য় সিজদাতে যেতে এক রুকন পরিমাণ দেরি করলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৯/নামাজে ডেকুর হলে কিছুটা পানি মুখে চলে আসে।কেউ যদি খেয়ে ফেলে তাহলে কি নামাজ হবে?যদি যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয় না খাওয়ার তারপরও কষ্ট হচ্ছে দেখে খেয়ে ফেলে,সেক্ষেত্রে নামায হবে কি?

১০/প্রায় সকল নামাযে বারবার  মনে হয় কিরাত পড়ার সময় একটি আয়াত বাদ দিলাম।এখন কী করণীয়?
১১/যদি সিজদাতে তাসবীহ তেলওয়াত করার সময় 'আ'লা' এর লা শব্দটি শোনা না যায় তাহলে কি নামায ফাসিদ হবে?
১২/আমার নামাযে বারবার মনে হয় আমি হাত নড়াচড়া করছি।আমলে কাসীর করছি।এখন কি করণীয়?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
নামাজ হবে।

(০২)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 

(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আমলে কাসীর হবেনা।

(০৪)
আমলে কাসীর হবেনা।

(০৫)
এক্ষেত্রে নামাজ ফাসিদ হবেনা।

(০৬)
আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।
যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে সুরা ফাতেহার অধিকাংশ আয়াত এমনিতেই এভাবে পুনরায় আদায় করেছেন,সেক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু আদায় করবেন। 

(০৭)
নামাজ হবে।

(০৮)
এক্ষেত্রে দুই সেজদার মাঝের দোয়া পড়ার বিষয়টিও হাদীসে আছে।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।

(০৯)
একেবারে মুখের ভিতর পানি চলে আসার পর তাহা গিলে ফেললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।

হ্যাঁ যদি অবস্থা এমম হয় যে কোনোভাবেই আটকানো যায়না,এমনিতেই গলায় চলে যায়,তাহলে সেক্ষেত্রে নামাজ ফাসিদ হবেনা।

(১০)
পুনরায় সেই আয়াত পড়া আবশ্যক নয়।

(১১)
নামাজ হয়ে যাবে। 

(১২)
এটা আপনার মনের সন্দেহ মাত্র।
তাই সন্দেহকে গুরুত্ব না দেয়ার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 249 views
...