আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
১/আমি ২৬ বছরের, আমার মা এবং ভাই মামারা আমাকে ব্যাংকারের সাথে বিয়ের জন্য বলছে,আমার আম্মু জোর করতেছে এবং বিভিন্ন মানসিক আঘাতের কথা বলতেছে,যেহেতু বাবা অনেক আগে ইন্তেকাল করেছেন, আর বয়স ও বেড়ে যাচ্ছে,পড়ালেখাও অনার্স কম্পলিট করিনি,আমার আমমু অসুস্থ,লিভার সিরোসিস,ডায়বেটিস এসব রোগে আক্রান্ত,দুইভাই বিবাহিত,আম্মু মারা গেলে আমার অবস্থা কিরকম হবে এই আশংকায় দ্রুত বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেসে,বেশিরভাগ প্রস্তাব ব্যাংকার,অন্য যেগুলা আসে সেগুলা আমাকে পছন্দ করেনি বা যেগুলা পছন্দ হয়ছে সেগলা আমার পরিবার পছন্দ করেনা ছেলের চরিত্র,পারিবারিক অবস্থা এসব বিবেচনা করে হয়ত,,কিন্তু আমি জানি ব্যাংকার বিয়ে করলে আমি ভরণপোষণ এর লিমিটেশন টা বুঝতে পারতেসিনা,,আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি এতদিন।এখন ও ব্যাংকার বিয়ে করতে দ্বিধান্বিত,এখন যে পাত্র তার পরিবার এবং চরিত্র সবার ভাল লেগেছে,কিন্তু ইউসিবিএল ব্যাংকে চাকরিরত বিধায় আমার দ্বিধা,,এদিকে আমাকে আমার আম্মু মানসিকভাবে নানা কথা বলতেসে।আমার করনীয় কি?

২/আমার কাছে টিউশন এর টাকা আছে দেড়লক্ষ মত,বাবার সম্পত্তি থেকে জমি আছে,আলহামদুলিল্লাহ্,,যদি ব্যাংকার বিয়ে করি আমার কি এসব বিক্রি করে নিজের খাবার, খরচ চালাতে হবে( যেটা করতে ইচ্ছা একদম করতেসেনা কারন আমি ত এরকম ছেলেকে বিয়ে করতে চাচ্ছিনা ওরা বলতেসে বিধায় করতে চাচ্ছি)??

৩/জমি বিক্রি করতে যদি পরিবার বাধা দেয় তখন কি করব বা নিজের সব খরচ করে শেষ করলে নিজের ভবিষ্যৎ এর জন্য কিছু না রাখলে কখনো যদি হাজবেন্ড ছেড়ে দেয় তখন আমার অবস্থার আশংকায় যদি কিছুই বিক্রি না করি বা জমানো টাকা খরচ না করি তাহলে কি ব্যাংকার স্বামী থেকে ভরনপোষন নেয়া জায়েজ হবে??
৪/ এতদিন আমি নিজের মনকে শক্ত করে ছিলাম আল্লাহ্ একদিন না একদিন আমাকে মনমত( চক্ষুশীতলকারি, হালাল রুজি ভক্ষনকারী) স্বামী মিলিয়ে দিবেন ইন শা আল্লাহ্। এখন মনকে শক্ত করতে পারতেসিনা,, বয়স ২৬ বছর ৫ মাসের বেশি,,এদিকে মামা রা শাসন করতেসে ভাইয়েরা হয়ত ইচ্ছুক, আম্মুর লিভার সিরোসিস রোগ,তিনি ডায়বেটিস রোগেও আক্রান্ত,তিনি হয়ত চাইতেসেন মারা যাবার আগে মেয়ের বিয়ে দিতে,,আমার ভাইরা হয়ত আমার ভরনপোশন ঠিক মত করবেনা উনি মারা যাবার পর,এই আশংকায় আমাকে বিয়ে জলদি দিতে চাইতেসে ।।  আম্মু একপ্রকার ঠেস মারে আমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত বাজে অবস্থা বা বিয়েহীন বা বাজে স্বামী পাব না এমন টাইপ বলে,এসব আমার মনোবল ভেনগ্গে যাচ্ছে,,আমার মনে হচ্ছে আমি এদের কথায় যদি বিয়েতে রাজি হয় আমি হয়ত আল্লাহ্'র উপর যথার্থ ভরসা রাখতে পারতেসিনা,,আমার আরো অপেক্ষা করা উচিত একমাত্র আল্লাহ্'র উপর ভরসা রেখে,,আমার কি এটা সঠিক সিদ্ধান্ত মনে হচ্ছে বা আমার কি করা উচিত?

৫/আমি পাত্রের সাথে  অন্য জব নেয়ার মানসিকতা আছে কিনা এই ব্যাপারে কথা বলতে চেয়েছিলাম,কিন্তু তাতেও বাধা,আল্লাহ্ যদি এই বিয়ে রিজিক্বে রাখেন তাহলে ভরনপোষন কিরুপ নেয়া উচিত( যেহেতু আমার ওয়াসওয়াসা সমস্যা,আমি বুঝিনা কি রকম কোনটা কতটুক নিলে হুয়ত আমার প্রয়োজন অনুযায়ী ভরনপোষন,মাসে কতটা জামা বা দিনে ক বেলা কিরুপ খাবার,, এসব)?

৬/ ব্যাংকার পাত্রকে বা ব্যাংকার ভাইয়ের বা ব্যাংক থেকে নেয়া সুদের টাকায় কিনা তরকারি মাছ ইত্যাদি রান্না করি ( কারন মেয়ে হিসাবে আমি ঘরে রান্না বান্না করি বা কাজ করি) বা জিনিস পরিষ্কার গুছিয়ে রাখার কাজ করি তাহলে কি এসবে অন্যদের সুদ খেতে সহায়তা করতেসি?? বা   আমার গুনাহ হবে?
by (21 points)
২/ নং এর আগের টা ১নং,,লিখা সেন্ড করার আগে প্রশ্ন নং উল্লেখ করতে খেয়াল করিনি।ল

1 Answer

0 votes
by (747,600 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামীর উপার্জন যদি হারাম থাকে বা স্বামী সম্পদের অধিকাংশ যদি হারাম থাকে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উচিৎ নিজ মাল থাকলে সেই মাল থেকে খোরাকি গ্রহণ করা।তবে সে চাইলে স্বামীর মাল থেকেও খোরাকি নিতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে না নেয়াই উত্তম।স্ত্রীর কোনো প্রকার মাল না থাকলে সে স্বামীর উক্ত সম্পত্তি থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত খোরাকি নিতে পারবে।
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে।(তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/782


প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হালাল ইনকাম রয়েছে এমন পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়াই প্রত্যেক ঈমান নারীর উচিৎ। তবে বক্ষমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত ব্যংকার পাত্রের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার রুখসত বা অনুমোদন থাকবে।

(২) যদি এই ব্যাংকার প্রাত্রের সাথে বিবাহ হয়, এবং পাত্রের কাজ সুদ সম্পর্কিত হয়, তাহলে যেহেতু আপনার নিকট কিছু ক্যাশ এবং জমি রয়েছে, তাই উক্ত জমি বিক্রির টাকা ও নগদ ক্যাশ যতদিন আপনার নিকট থাকবে, ততদিন আপনি নিজের ভরণ পোষণ নিজে করবেন। যখন থাকবে না, তখন স্বামীর মাল থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত নিতে পারবেন।

(৩) আপনার জন্য নির্ধারিত জমি বিক্রি করতে পরিবার বাধা দিলে, তখন ক্যাশ টাকা দিয়ে ভরণপোষণ চালাবেন।যখন ক্যাশ শেষ হয়ে যাবে, তখন স্বামীর ইনকাম থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।

(৪) আর অপেক্ষা না করে, পরিবারের পছন্দসই পাত্রকেই নিজের জন্য গ্রহণ করে নিন।

(৫) স্বামীর হারাম ইনকাম থেকে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই গ্রহণ করে নিতে পারবেন। বিলাসিতা বা প্রয়োজন অতিরিক্ত কিছুই নিতে পারবেন না।

(৬) প্রশ্ন বর্ণিত সূরতে গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...