বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ
(১)
ফরয গোসলের ক্ষেত্রে কুলি করা ফরয।তবে অজুর ক্ষেত্রে ফরয বা ওয়াজিবও নয়।সুতরাং অজুর সময়ে যদি কেউ কুলি নাও করে, তবে তার অজু নষ্ট বা বাতিল হবে না।
(২)
যে ব্যক্তি নামাযে ইচ্ছাকৃত কিছু খাবে বা পান করবে,তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
ইবনুল মুনযির রাহ বলেন,
" أَجْمَعَ أَهْلُ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ الْمُصَلِّيَ مَمْنُوعٌ مِنْ الْأَكْلِ وَالشُّرْبِ ، وَأَجْمَعَ كُلُّ مَنْ نَحْفَظُ عَنْهُ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى أَنَّ على مَنْ أَكَلَ أَوْ شَرِبَ فِي صَلَاةِ الْفَرْضِ عَامِدًا الْإِعَادَةَ "
সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত যে,নামাযে কোনো কিছু খাওয়া বা পান করা নিষিদ্ধ।এবং যে ব্যক্তি নামাযে ইচ্ছাকৃত কিছু খেয়ে ফেলবে বা পান করে ফেলবে,তাকে নামায দোহরাতে হবে।(আল-আওসাত-৫/১০৯)
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" وان كان بين أسنانه شيء فابتلعه عمداً .... بطلت صلاته بلا خلاف .فإن ابتلع شيئاً مغلوباً ، بأن جرى الريق بباقي الطعام بغير تعمد منه ، لم تبطل صلاته بالاتفاق " انتهى "
যদি কারো দাতের মধ্যে কিছু লেগে থাকে,এবং সে ইচ্ছাকৃত ঐ জিনিষকে খেয়ে ফেলে,তাহলে তার নামায বাতিল হয়ে যাবে।তবে যদি দাতে লেগে যাওয়া ঐ জিনিষ থুথুর সাথে মিশে যায়,এবং থুথুর পরিমাণ বেশী থাকে,তাহলে তার নামায সর্বসম্মতিক্রমে ফাসিদ হবে না।(আল-মাজমু'-৪/৮৯)
ইবনে কুদামা বলেন
" وَإِنْ بَقِيَ بَيْنَ أَسْنَانِهِ ، أَوْ فِي فِيهِ مِنْ بَقَايَا الطَّعَامِ يَسِيرٌ يَجْرِي بِهِ الرِّيقُ ، فَابْتَلَعَهُ ، لَمْ تَفْسُدْ صَلَاتُهُ ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُ الِاحْتِرَازُ مِنْهُ "
যদি কারো দাতে কিছু থেকে যায়,যা থুথুর সাথে মিশে যায়,এবং সে গিলে ফেলে,তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।(আল-মুগনি-৩/২১১)জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নামাযের ভিতর খাওয়া যাবে না।নামায শেষ করে খেয়ে মুখ খালি করে আবার উক্ত অজু দ্বারা নামায পড়া যাবে।
(৩)
ছানা বরাবার বলতে আমাদের দেশের ছানাবোট বুঝানো হয়েছে।