আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আস-সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বা-র-কাতুহ।

আমার বান্ধুবির সমস্যা।
আশ্বিক জ্বিনের সমস্যা বা জাদু করা হয়েছে কি না কীভাবে বুঝবো? কারো বিয়ে বন্ধ করে রাখা হলে এর সমাধান কীভাবে পাবে?
তাবিজ পরলে কি নামাজ হবে? গুনাহ হবে?

তার সমস্যাটা বিস্তারিত বলতেছি...

একদিন রাতে তার বোনসহ একই খাটে ঘুমোচ্ছিল। ঘুমের মধ্যে তাকে সুড়সুড়ি দিতে দিতে তার নিশ্বাস আটকে ফেলছিল। এরপর তার গলা ধরে, সে বুঝতে পেরে সূরাহ পড়া শুরু করলে কিছুক্ষণের জন্য চলে যায়, আবার চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে গেলেই ধরে। পরে সে কান্নাকাটি শুরু করলে তার আম্মু এবং আরও একটা বোনসহ সবাই একসাথে ঘুমায়। তাকে মাঝখানে দেয়।তার মা তার পুরো শরীর সূরা পড়ে ফুঁ দেয়, এবং বিছানা দম করে নেয়। সে নিজেও পড়ে। কিন্তু পরে তার আম্মুর চেহারা ধরে আসে এবং তার দিকে ভয়ঙ্কর ভাবে তাকায়,ওই রাতে তাকে একটুও ঘুমোতে দেয়নি।

আরও একদিন... তাকে অনেক রাতে উঠাই বাহিরে নিয়ে যায় এবং তার আম্মুর কন্ঠে হাঁস মুরগিরে ডাক দেয়, সে তার আম্মুরে ডাক দেয়।

 ১/২ বছর থেকে এমন সুড়সুড়ি অনেকবারই দিতো। তার আম্মু অনেক হুজুররেই বলছিল, সবাই বলছে আশ্বিক এর সমস্যা আছে।

এই সময়গুলোতে সে আজেবাজে স্বপ্ন দেখতো। তাবিজ ৫/৬ টা দেয়। দেওয়ার পর সে ভালোই থাকে। এরপর যখন সে জানতে পারে তাবিজ দিলে গুনাহ হয় নামাজ হয় না তখন তার আম্মুরে না জানিয়ে সেগুলো সে ফেলে দেয়।


এরপর অন্য একদিন....মশারি তুলে তাকে জড়িয়ে ধরে এবং  ছাপ দাঁড়ির খোঁচা তার ঘাড়ে লাগে সে স্পষ্ট বুঝতে পারে।


আবার একদিন এশার নামাজের সময় তার পিছনে নামাজ পড়ছিলো সে বুঝতে পারলো।এই সময় সে ভালো স্বপ্নই দেখতো।


তার আম্মুরে জানাইলে এখন আবার তাবিজ এনে দেয়। এখন সে এগুলো দিবে কিনা?

বি:দ্র: ২/৩ বছর থেকে বিয়ের চেষ্টা করতেছে কিন্তু এই সমস্যা সেই সমস্যা এখনও বিয়ে হচ্ছে না। দেখতে সুন্দর সবারই তাকে পছন্দ হয়।

তার সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে? আর বুঝবো কীভাবে যে সে জ্বীন যাদু দ্বারা আক্রান্ত?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এটি বোবা জীনের আছর হতে পারে।
,
এটির চিকিৎসা কোরআনে কারিম তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মাধ্যমে। দোয়া দরুদ, চার কুল পাঠ ও আয়াতুল কুরসি পাঠসহ সুন্নাহভিত্তিক অন্যান্য আমলের মাধ্যমে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। [বুখারী শরীফ ৫০১৭.৫৭৪৮, ৬৩১৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বান্ধবীর প্রতি পরামর্শঃ-
আপনি পাক বিছানায় ঘুমানোর চেষ্টা করবেন।
আপনি যেই অবস্থায় থাকুন না কেনো,প্রত্যেক রাতে ঘুমানোর আগে অযু করবেন,আয়াতুল কুরসী পড়বেন,তিন কুল তিনবার পড়ে পুরো শরীর তিনবার ফুক দিবেন।
,
ইনশাআল্লাহ আর কোনো সমস্যা হবেনা। 

আরো করনীয় জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আস-সালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। 
তাবিজ পরলে কি নামাজ হবে? তাবিজ পরা যাবে কিনা? বিয়ের ব্ন্ধ করা আছে কিনা কীভাবে বুঝবো? তার আম্মু তাকে বিয়ের বন্ধ করা হয়েছে এটা ভেবে তাবিজ এনে দিল। এখন এই তাবিজ পরলে কোনো সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...