১) মহিলাদের জন্য ইতেকাফ করাও জায়েজ নাই, স্বামীর অনুমতি ছাড়া নফল রোজা রাখা যাবে না, নফল এবাদত করা যাবে না, মনে মনে বা প্রকাশ্যে কিছু বললে নাকি এবাদত বাতিল হয়ে যাবে,
২) শুনলাম যদি কোন মহিলা স্বামি কে বলে আমি দেখে এই লোকের ভাত খাই অন্যকেও হলে খেতো না, এই কথা বলার সাথে সাথে নাকি ওই মহিলার ৪০ দিনের এবাদত বাতিল হয়ে যাবে? একজন মানুষ কষ্ট পেয়েইতো এই কথা বলবে, তাতে সাথে সাথে এবাদত বাতিল হয়ে যাবে?
৩)আচ্ছা সব সময় ছেলেদের, ইসলামে আছে বিয়ে করা যাবে, ইসলামে আছে মেয়ে দের উপরে হাত তুলা যাবে, মেরে মুখে দিয়ে রক্ত বের করে ফেলতে পারবে, ওই মারামারির সময় যদি নিজেকে বাচানোর জন্য ধাক্কাও লেগে যায় তাহলে শুনতে হয়, মেয়েরা জাহান্নামি, কিন্তু কেন?
৪)আচ্ছা উস্তাদ একটু বলবেন কি স্ত্রীর সাথে কি করলে স্বামীরা জাহান্নামি হবে?
৫) ছোট থেকে শুনে এসেছি যে স্ত্রী যাই করুক স্বামী নারাজ তো জাহান্নামি, তাহলেতো মনে হয় বিয়ে না করাই ভালো, জাহান্নাম যেতে হলো না, ৩০ বছর সংসার করে শুনতে হলো না যে আমি তোমার উপর অসন্তুষ্ট। এই কথা বলার সাথে সাথে নাকি মেয়েরা জাহান্নামি, ওস্তাদ মাফ করবেন, ছোট থেকে এগুলো শুনে, বিয়ে করতে ভয় আর ঘেন্না দুটোই লাগে,
৬)স্বামী একাধিক বিয়ে করতে চাইলে কেনই মেয়েদের সাথে সাথে অনুমতি দিতে হবে, তাহলে মেয়েদের কি কোন ইচ্ছাশক্তি নেই, মেয়েরা এতই তুচ্ছ?তাহলে বলতে হয় ছেলেদের ভালোবাসারই যোগ্য না, এদের ভালবাসলে কষ্ট ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না।
৭)আল্লাহর এবাদত করতে গেল স্বামীর অনুমতি দরকার হয়, স্বামী যদি ইচ্ছাকৃত অনুমতি না দেয় তাহলে কি স্বামীর পাপ হবে
,নাকি শুধু মেয়েদেরই পাপ হবে?
৮)মাফ করবেন, স্ত্রীর সাথে কেমন ব্যবহার করলে স্বামীরা জাহান্নামী হবে, স্বামীকি করলে পাপ হবে,?
স্ত্রীর সাথে কেমন ব্যবহার করলে, পুরুষদের এবাদত বাতিল হবে? এ কোশ্চেনের আনসার কেউ দিতে পারে না, আমি যতটা জানি ইসলামে আল্লাহ সবাইকে সমানভাবে দিয়েছে, কারণ ছাড়া কোন কিছুই দেয় নি, একজনকে কম আর একজনকে বেশি এরকম কোন কিছুই নেই, আমি ভুল নিয়ে থাকতে চাচ্ছি না