জবাবঃ
(১)
১৪জন মাহরাম ব্যতীত বাদবাকী সবাই গায়রে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। গায়রে মাহরামের সামনে সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে।এ সম্পর্কে জানুন-
https://www.ifatwa.info/572
শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত পুরুষ কখনো গায়রে মাহরাম মহিলাকে দেখতে পারবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলাকে এভারে ঘরে একা রেখে কখনো কোথাও যাওয়া জায়েয হবে না।বিশেষকরে যৌথ ফ্যমিলিতে এভাবে বাহিরে যাওয়া উচিৎ নয়।যদি কেউ কখনো মহিলাকে ঘরে একা রেখে বাহিরে চলে যায়,এমতাবস্থায় যদি কোনো গায়রে মাহরাম ঘরে আসেন,তাহলে গায়রে মাহরামের উচিৎ ঘরে প্রবেশ না করা বা প্রবেশ করলেও দীর্ঘ সময় অবস্থান না করা।মহিলার জন্য ওয়াজিব হচ্ছে,আল্লাহর হুকুম ও শাস্তির বিধান এবং শয়তানের ধোকার প্রবণতা সামনে রেখে নিজ ঘরের দরজাকে বন্ধ করে রাখা।রুক্ষ ও কর্কশ ভাষায় কথা বলা(যদি কথা বলার প্রয়োজন হয়)
নিজ ফ্যমিলির গায়রে মাহরাম আত্মীয় হলে,প্রবেশ করতে দেয়া যাবে।তবে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে।নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
যদি বাহিরের কোনো গায়রে মাহরাম হন,তাহলে যথা সম্ভব ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়া।তারপরও যদি বিশেষ কোনো পরিবেশ পরিস্থিতি ঘরে প্রবেশ করতে দিতে বাধ্য করে দেয়,তাহলে প্রবেশ করতে দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখা ও দরজা বন্ধ করে রাখা।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত প্রবেশ সুযোগ করার পর নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে দিলে বা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখলে, আপনার কোনো গোনাহ হবে না।কেননা নির্জনে গায়রে মাহরাম নারীপুরুষের অবস্থান মূলত ফিতনার জন্যই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।সুতরাং এ জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।
(2)
হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে য়ে,কিছু সংখ্যক সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।যেমন,সূরায়ে ফাতেহা,সূরায়ে বাক্বারা,সূরায়ে আলে ইমরান,সূরায়ে কাহাফ।ইত্যাদি।
কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ কি রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।না কি কিছু সংখ্যক সূরার নামকরণ করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের নামকরণ সাহাবায়ে কেরাম করেছেন? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরেমদের মতপার্থক্য রয়েছে।
অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম মনে করেন,কুরআনের সমস্ত সূরার নামই রাসূলুল্লাহ থেকে হয়েছে।
ইমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেন,
"لِسوَر القرآن أسماءٌ سمّاها بها رسول الله صلى الله عليه وسلم" انتهى .
কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।(জামেউল বয়ান-১/১০০)
ইমাম সুয়ূতি রাহ বলেন,
"وقد ثبتت جميع أسماء السور بالتوقيف من الأحاديث والآثار ، ولولا خشية الإطالة لبينت ذلك" انتهى .
কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন,(আল-ইতকান-১/১৪৮)