আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
১.জয়েন ফ্যামিলিতে মাঝে মাঝে দেখা যায় যে ঘরের সবাই বাহিরে।এমনকি মাহরামরাও।এমতাবস্থায় যদি কোন গায়েরে মাহরাম আত্নীয় বাসায় আসায় তখন কি তাকে ঘরে আসতে দেয়া জায়েজ হবে?বা ঘরের কোন গায়েরে মাহরাম সদস্য বাহির থেকে ফিরে আসে তখন কি ওই ঘরে অবস্থান করা নাজায়েজ হবে?

২.কুরআনের সুরাগুলোর নামকরণ কখন করা হয়?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
মাহরাম কারা? এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2722

১৪জন মাহরাম ব্যতীত বাদবাকী সবাই গায়রে মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। গায়রে মাহরামের সামনে সম্পূর্ণ পর্দা করতে হবে।এ সম্পর্কে জানুন-https://www.ifatwa.info/572

শরয়ী প্রয়োজন ব্যতীত পুরুষ কখনো গায়রে মাহরাম মহিলাকে দেখতে পারবে না।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মহিলাকে এভারে ঘরে একা রেখে কখনো কোথাও যাওয়া জায়েয হবে না।বিশেষকরে যৌথ ফ্যমিলিতে এভাবে বাহিরে যাওয়া উচিৎ নয়।যদি কেউ কখনো মহিলাকে ঘরে একা রেখে বাহিরে চলে যায়,এমতাবস্থায় যদি কোনো গায়রে মাহরাম ঘরে আসেন,তাহলে গায়রে মাহরামের উচিৎ ঘরে প্রবেশ না করা বা প্রবেশ করলেও দীর্ঘ সময় অবস্থান না করা।মহিলার জন্য ওয়াজিব হচ্ছে,আল্লাহর হুকুম ও শাস্তির বিধান এবং শয়তানের ধোকার প্রবণতা সামনে রেখে নিজ ঘরের দরজাকে বন্ধ করে রাখা।রুক্ষ ও কর্কশ ভাষায় কথা বলা(যদি কথা বলার প্রয়োজন হয়)


নিজ ফ্যমিলির গায়রে মাহরাম আত্মীয় হলে,প্রবেশ করতে দেয়া যাবে।তবে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে।নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।

যদি বাহিরের কোনো গায়রে মাহরাম হন,তাহলে যথা সম্ভব ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়া।তারপরও যদি বিশেষ কোনো পরিবেশ পরিস্থিতি ঘরে প্রবেশ করতে দিতে বাধ্য করে দেয়,তাহলে প্রবেশ করতে দিয়ে নিজেকে আড়াল করে রাখা ও দরজা বন্ধ করে রাখা।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উক্ত প্রবেশ সুযোগ করার পর নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে দিলে বা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখলে, আপনার কোনো গোনাহ হবে না।কেননা নির্জনে গায়রে মাহরাম নারীপুরুষের অবস্থান মূলত ফিতনার জন্যই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।সুতরাং এ জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না।




(2)

হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে য়ে,কিছু সংখ্যক সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।যেমন,সূরায়ে ফাতেহা,সূরায়ে বাক্বারা,সূরায়ে আলে ইমরান,সূরায়ে কাহাফ।ইত্যাদি।

কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ কি রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।না কি কিছু সংখ্যক সূরার নামকরণ করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের নামকরণ সাহাবায়ে কেরাম করেছেন? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরেমদের মতপার্থক্য রয়েছে।

অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম মনে করেন,কুরআনের সমস্ত সূরার নামই রাসূলুল্লাহ থেকে হয়েছে।


ইমাম ইবনে জারীর তাবারী বলেন,
"لِسوَر القرآن أسماءٌ سمّاها بها رسول الله صلى الله عليه وسلم" انتهى .
কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন।(জামেউল বয়ান-১/১০০)

ইমাম সুয়ূতি রাহ বলেন,
"وقد ثبتت جميع أسماء السور بالتوقيف من الأحاديث والآثار ، ولولا خشية الإطالة لبينت ذلك" انتهى .
কুরআনের সমস্ত সূরার নামকরণ রাসূলুল্লাহ সাঃ করেছেন,(আল-ইতকান-১/১৪৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...