আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)

দারুল ইফতা দেওবন্দের ওয়েবসাইট এ দেখলাম- 

بسم الله الرحمن الرحيم

 

Fatwa: 943-715/H-Mulhaqa=11/1443

 فرض نماز كی تیسری یا چوتھی ركعت میں مطلق قراءت یا سورہٴ فاتحہ فرض یا واجب نہیں؛ البتہ بہ شكل سورہٴ فاتحہ قراءت سنت ہے‏، اور صرف سورہٴ فاتحہ پڑھنا اور اس كے ساتھ سورت نہ ملانا بھی سنت ہے‏، پس اگر كسی (امام یا منفرد) نے فرض نماز كی تیسری یا چوتھی ركعت میں سورہٴ فاتحہ جان بوجھ كر چھوڑدی یا صرف اس كی تین آیتیں پڑھیں‏، تو نماز ہوجائے گی‏، اعادے كی یا سجدہٴ ءہو كی ضرورت نہ ہوگی؛ البتہ بلاعذر ومجبوری ترك سنت سے احتراز چاہیے؛ تاكہ سنت كی خلاف ورزی لازم نہ آئے اور نماز كے كامل ثواب سے محرومی نہ ہو۔

 

এটা কেমন কথা হল? অথচ রাসুল(স.) বলেছেন,

পরিচ্ছেদঃ ৫/১১. ইমামের পিছনে কিরাআত পড়া।

১/৮৩৭। উবাদাহ ইবনুুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি, তার সালাত হয়নি। [সুনান ইবনু মাজাহ]

 

২/৮৩৮। আবূস সাইব (রহঃ) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি কোন সালাত পড়লো এবং তাতে উম্মুল কুরআন (সূরাহ ফাতিহা) পড়েনি তার সালাত অসম্পূর্ণ। আবূস সাইব (রহঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আবূ হুরাইরাহ! আমি কখনো কখনো ইমামের সাথে সালাত পড়ি। তিনি আমার বাহুতে খোঁচা দিয়ে বলেন, হে ফারিসী! তুমি তা মনে মনে পড়ো। 

 

৬/৮৪২। আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি তাকে জিজ্ঞেস করলো, ইমামের কিরাআত পড়ার সাথে সাথে আমিও কি কিরাআত পড়বো? তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করলো, প্রত্যেক সালাতেই কি কিরাআত আছে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হ্যাঁ। উপস্থিত লোকেদের মধ্যে একজন বললো, এটি বাধ্যতামূলক হয়ে গেলো।

 

৭/৮৪৩। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যোহর ও আসর সালাতের প্রথম দু রাকআতে ইমামের পিছনে সূরাহ ফাতিহা ও অন্য সূরাহ এবং শেষ দু সালাতে কেবল সূরাহ ফাতিহা পড়তাম।

 

‘উবাদাহ ইবনু সমিত (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হলো না। (সহীহ বুখারী হা/৭৫৬, মুসলিম ৪/১১, হাঃ ৩৯৪, আহমাদ ২২৮০৭) 

 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলো কিন্তু এতে উম্মুল কুরআন অর্থাৎ- সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পাঠ করলো না তাতে তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ’’অসম্পূর্ণ’’ রয়ে গেল। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। এ কথা শুনে কেউ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমরা যখন ইমামের পিছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবো তখনও কি তা পাঠ করবো? উত্তরে তিনি বললেন, হাঁ তখনও তা পাঠ করবে নিজের মনে মনে। কারণ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ’’আল্লাহ বলেছেন, আমি ’সালাত’ অর্থাৎ, সূরাহ্ ফাতিহাকে আমার ও আমার বান্দার মধ্যে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ করেছি, (এভাবে যে, হামদ ও সানা আমার জন্য আর দু’আ বান্দার জন্য)। আর বান্দা যা চায় তা তাকে দেয়া হয়।

[সহীহ : মুসলিম ৩৯৫, তিরমিযী ২৯৫৩, ইবনু মাজাহ্ ৮৩৮, আহমাদ ৭২৯১, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৭৬।]

 

এখন কি সহিহ হাদিস মানব না দারুল ইফতার ফতোয়া? 

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.

আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফাজরেও এ রকম করতেন। (৭৫৯) (বুখারী শরীফ ৭৭৬,আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)

ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়া সুন্নত। তাই কেউ ভুলবশত এই দুই রাকাতে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাজ হয়ে যায়। সাহু সিজদা দিতে হয় না। (আল বাহরুর রায়েক ১/৩১২)

তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা সুন্নতের প্রতি অবহেলার নামান্তর। সুতরাং ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা যাবে না। হাদিস শরিফে এসেছে, আবূ কাতাদাহ্ রাযি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,

أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَاب

নবী ﷺ যুহরের প্রথম দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা ও দু’টি সূরা পড়তেন এবং শেষ দু’রাকাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। (বুখারী ৭৪০)

فتاوی شامی:

"(واكتفى) المفترض (فيما بعد الأوليين بالفاتحة) فإنها سنة على الظاهر، ولو زاد لا بأس به (قوله ولو زاد لا بأس) أي لو ضم إليها سورة لا بأس به لأن القراءة في الأخريين مشروعة من غير تقدير والاقتصار على الفاتحة مسنون لا واجب فكان الضم خلاف الأولى وذلك لا ينافي المشروعية، والإباحة بمعنى عدم الإثم في الفعل والترك كما قدمناه في أوائل بحث الواجبات."
(کتاب الصلاۃ، باب صفۃ الصلاۃ، ج: 1، صفحہ: 511، ط: ایچ، ایم، سعید)
সারমর্মঃ-
ফরজ নামাজের প্রথম ২ রাকাতের পরের রাকাত গুলিতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত জাহিরি রেওয়ায়াত অনুযায়ী। কেহ যদি সুরা মিলায়,সেক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা নেই।

حاشية الطحطاوی على مراقي الفلاح:

"وتسن قراءة الفاتحة فيما بعد الأوليين" يشمل الثلاثي والرباعي."
(کتاب الصلاۃ، فصل في بيان سننها، ص: 270/ ط: دار الكتب العلمية بيروت - لبنان)
সারমর্মঃ-
সুরা ফাতেহা পাঠ করা ফরজ নামাজের প্রথম ২ রাকাতের পরের রাকাত গুলিতে অর্থাৎ ৩য়, ৪র্থ রাকাতে সুন্নাত।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাজের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পড়াকে হানাফি মাযহাবে সুন্নত বলা হয়েছে। এটিকে ওয়াজিব আখ্যা দেয়া হয়নি।

তবে এমনটিও বলা হয়নি যে সুরা ফাতেহা পড়া যাবেনা।

সুতরাং আমরা উক্ত রাকাত গুলিতে সুরা ফাতেহা আবশ্যিক ভাবে পড়তে চাইলেও সমস্যা নেই। আমরা পড়তে পারি। এটা নিষেধ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...