উক্ত মাছ আমি খাবো কিনা??হালাল হবে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

উস্তাদ আমার জেঠা আর উনার সাথে লোক একজন মিলে একটি প্রজেক্টে মাছ চাষ করেন।আমার বাবা সেই প্রজেক্ট পাহারা দেওয়ার চাকরি করেন।এখন আমার ছোট বোন গত কাল সেই প্রজেক্ট থেকে একটি বড় মৃত  মাছ এনেছে।আমার বাবা বলেছেন প্রজেক্টের শেয়ারে আমার জেঠার সাথে যে লোকটি আছে তিনি এতে কিছু মনে করার মতো মানুষ না।অর্থাৎ আমার ছোট বোন এই মাছটা যে এনেছে ওই লোকটি এটা দেখেছে কিন্তু কিছু বলেনি বা তার মনে কষ্টও প্রকাশ পায়নি।গত কাল আমি আমার জেঠার মধ্যেও কোন মনে কষ্ট বা এমন কিছু দেখিনি।কিন্তু আজ আমার জেঠা সম্ভবত আমাকে শুনিয়ে বলছেন যে উনাদের মাছ মরে যাক বা পঁচে যাক কেউ এই মাছ ধরার দরকার নাই।এতে উনার মনে কষ্ট প্রকাশ পেয়েছে।এখন প্রশ্ন হলো-

১/আমার কাছে মনে হলো প্রজেক্টের মালিকেরা কেউ এই মাছ নেওয়াতে কিছু মনে করেনি তাই আমি এই মাছ খেয়েছি।এখন যেহেতু দেখলাম যে আমার জেঠার মনে কষ্ট প্রকাশ পেয়েছে তাহলে কি আমি মাছ এটা যত টুকু খেয়েছি এটা কি হারাম খেয়েছি?

২/মাছ যত টুকু  অবশিষ্ট আছে অত টুকু কি আমি খেতে পারবো?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,

عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 

নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- 3747 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

যেহেতু তারা দেখা বা জানার পরও উপস্থিত সময়ে কেউ কিছু বলেনি, তাই আপাতত তাদের মৌনসম্মতিই ধরে নেওয়া হবে। তাই আপনার জন্য খাওয়া নাজায়েয হয় নাই। এবং যা অবশিষ্ট রয়েছে, সেটুকুও খেতে পারবেন। তবে ভবিষ্যতে যেহেতু আপনার জেঠা বারণ করেছেন, তাই আপনি আপনার বোনকে নিষেধ করে দিবেন।